বেরশিক মাতা হাতে নাতে ধরলেন অভিযুক্ত আওয়ালকে, ততক্ষণে টের পেয়ে গেল এলাকাবাসীরা। এ ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলায়।
বৃহস্পতিবার (২০) সন্ধ্যার আগে শারিরীক সম্পর্ক করার প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় এক শারিরীক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় এলাকাবাসীদের হাতে নাতে আটক হয় বখাটে যুবক মো.আওয়াল মিয়া(২২)। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ওইদিবাগত রাত সাড়ে ১২ টায় কলমাকান্দা থানার উপপরিদর্শক (এস,আই) মো.আশিকুর রহমান নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ দল ধৃত আওয়ালকে এলাকাবাসীর কাছ থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
ধর্ষণে অভিযুক্ত আটক মো. আওয়াল মিয়ার বাড়ী হচ্ছে কলমাকান্দা উপজেলার সদর ইউনিয়নের পাছুড়া গ্রামের মো. চাঁন মিয়ার পুত্র।
স্থানীয় ও লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী একজন শারিরীক প্রতিবন্ধী কিশোরী (১৭)। তার বাবা- মা হতদরিদ্র পরিবার। তাদের বসতবাড়ি সাথে কোন বাড়ী ঘর নেই। ঘটনার দিন সন্ধ্যার আগে ভুক্তভোগীর বাবা মাছ ধরতে চলে যান বিলে। আর মা বাড়ীর পাশে মাঠ থেকে গরু বাছুর আনতে যান। অপরদিকে তারই এক ছোট ভাই খেলাধুলা করতে বাহিরে ছিল। পরে সন্ধ্যার আগে মা বাড়ীতে এসে দেখে বখাটে যুবক জোর পূর্বক ঘরের শয়নকক্ষের চৌকিতে তার মেয়েকে ফেলে ধর্ষণ করেছে। এ সময় ভুক্তভোগীর মাকে দেখে অভিযুক্ত আওয়াল দৌড় দেয়। তার পিছু নিয়ে ডাক চিৎকার করতে থাকেন। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আওয়ালকে আটক করতে সক্ষম হন তিনি। পরে ওইদিন রাতেই ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে কলমাকান্দা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। পরে ওইদিবাগত রাত সাড়ে ১২ টায় ধৃত আওয়ালকে এলাকাবাসীর কাছ থেকে উদ্ধার করে কলমাকান্দা থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
এবিষয়ে কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোকন কুমার সাহা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,রাতেই মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ওই প্রতিবন্ধী কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা ও জবানবন্দী রেকর্ড করার জন্য ও আটক ধর্ষণে অভিযুক্ত মো. আওয়াল মিয়াকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।