নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা সদর নজিপুর পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় বাসষ্ট্যান্ড চারমাথায় রাস্তায় পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। প্রধান সড়কে জমে থাকা পানি নিস্কাশনের জন্য পৌর কর্ত্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় পথচারীদের ভোগান্তি দিন দিন বাড়ছে। ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি পাড়ি দিয়ে পথচারীদের যাতায়াত করতে হওযায় তাঁদের চরম ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। দিনের পর দিন রাস্তায় পানি জমে থাকায় ১৫/২০টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলে জানা গেছে। সরেজমিনে শুক্রবার সকালে নজিপুর জিরো পয়েন্ট চারমাথা বাসষ্ট্যান্ডের সাপাহার রোডে গিয়ে দেখা গেছে প্রায় ৩শত গজ এলাকা জুড়ে রাস্তায় পানি জমে আছে। নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত ড্রেনের এ সকল পানি পাড়ি দিয়েই মানুষ চলাচল করছে। ৩শত গজ এলাকার মধ্যে রয়েছে ওষুধ, স্টেশনারীজ, গার্মেন্টস, সাইকেল, মুদিখানা এবং হার্ডওয়ারের ২০/২৫টি দোকান। মুদি দোকানী জুয়েল জানান, দোকানের সামনে ময়লা পানি জমে থাকায় দোকানে ক্রেতা আসছে না এ কারণে তাঁর দৈনিক বেচাকেনা কমে গেছে। ষ্টেশনারীজ দোকানী রাজ্জাক বলেন, রাস্তার পানি মেড়ে ক্রেতা দোকানে না এসে অন্য দোকানে গিয়ে মালামাল কিনছে। এ কারণে তাঁর দৈনিক বেচাকেনা অর্ধেকে নেমে আসায় তিনি আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। ওষুধ ব্যবসায়ী ও মানবাধিকার কর্মী হাসান শাহরিয়ার বলেন, বাসষ্ট্যান্ড এর মতো জিরো পয়েন্টে শুষ্ক মৌসুমে পানি জমে থাকার ঘটনা মোটেও কাম্য নয়। এজন্য পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার দুর্বলতাকে দায়ী করে তিনি বলেন, মেয়র সাহেব প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করলেও তিনি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না। অবিলম্বে সড়ক থেকে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করার জোর তিনি জোর দাবী জানান। এ বিষয়ে নজিপুর পৌরসভার স্বাস্থ্য সহকারী লুৎফর রহমান জানান, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মেয়রকে কয়েক বার অবগত করানো হয়েছে। পৌর মেয়র রেজাউল কবির চৌধুরীর সাথে মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।