গাজীপুরের কাপাসিয়ার ‘খিরাটি পূর্বপাড়া ডা.আব্দুর রহমান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে’ চার জন কর্মচারী নিয়োগে অবৈধ বাণিজ্য ও নানা দুর্নীতির অভিযোগে গত শনিবার দুপুরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় খিরাটি এলাকাবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধন শেষে এক প্রতিবাদ সভায় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়ম বন্ধ করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানান বক্তারা।
উপজেলার ঘাগটিয়া ইউনিয়নের ওই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ডা.আব্দুর রহমানের ছেলে মো.মানিক মিয়া জানান, উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২২ কি.মি, দূরে প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে ১৯৫৯ সালে তার পিতা নিজের বাড়ির সাথে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। পরে ১৯৬৭ সালে প্রায় আড়াই বিঘা আয়তনের মাঠের অপর প্রান্তে নিজের নামে একটি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। বিদ্যালয়ের নিজস্ব নামে তিন বিঘা জমি থাকার সরকারী বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে ১৯৯১ সালে তিনি উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত নিজের ১৮ কাঠা জমিও ওই বিদ্যালয়ের নামে তিনি রেজিস্ট্রি করে দেন। কিন্তু বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক আকলিমা আক্তার ও সভাপতি জাহানারা বেগমের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে শিক্ষার মান ধরে রাখতে না পারায় শিক্ষার্থীর সংখ্যায় মারাত্মক ধ্বস নেমেছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী এস.এম আলমগীর হোসেন জানান, গত ১১ অক্টোবর ওই বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী, নৈশ প্রহরী, নিরাপত্তা কর্মী ও অফিস সহায়ক পদে চার জন কর্মচারী নিয়োগে মোটা অঙ্কের বাণিজ্যের অভিযোগ উঠলে এলাকাবাসীর মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। মানিক মিয়াসহ অন্য দাতা সদস্যদের কমিটিতে না রেখে মৃত ডা. আবদুর রহমানের মেয়ে তাহেরা খাতুনের ছেলে কাজল মিয়া, তার স্ত্রী প্রধান শিক্ষক আকলিমা আক্তার ও কাজলের বড়বোন জাহানারা বেগম নিজেদের পছন্দের লোক দিয়ে পকেট কমিটি তৈরি করে চরম স্বেচ্ছাচারিতা করছেন। জমিদাতা হয়েও নিজের পিতার গড়া প্রতিষ্ঠানটিতে অসহায় মানিক মিয়ার ছেলে মেয়েরা আজ টাকা দিতে না পারায় চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবেও নিয়োগ পাচ্ছেন না। এমনকি প্রতিটি পদে তিন থেকে চার লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়টি তাদের কাছে গোপন রাখা হয়েছিল।
এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকলিমা আক্তার জানান, তিনি স্বচ্ছতার সাথে যথাযথ প্রক্রিয়া মেনেই চার জন কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন। নিয়োগ বাণিজ্যের গুজবটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে ফাঁসাতে এবং বিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণœ করতে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন।