রংপুরের পীরগঞ্জে বাড়িঘর ভাংচুর ও জমি দখলসহ গাছপালার কর্তনের মামলার ২২ জন আসামির মধ্যে ১৩ জনকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী। মামলা ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,পীরগঞ্জ উপজেলার চতরা ইউনিযনের সোনাতলা গ্রামের মৃতঃ জুমার উদ্দিনের ছেলে নুরুল ইসলাম গত ৩ ফেব্রুয়ারী পীরগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেন তার বসতবাড়ি ভাংচুর, গাছপালা কর্তনসহ আবাদি জমি দখলের ঘটনা ঘটটায় একটি মহল। ঘটনার পূর্বেই লোকজনের মহড়া দেখে নুরুল ইসলাম ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেয়। ফোন পেয়ে পীরগঞ্জ থানার কর্তব্যরত এএসআই ছালেম মওলার উপস্থিতিতে ৪০ থেকে ৫০ ব্যক্তি নুরুলের বাড়িঘরে হামলা চালায়। অপরদিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকাকালীন সময়ে সংঘবদ্ধ আসামিরা নুরুল ইসলাম কে এলোপাতাড়ি মারপিট ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে পীরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়,একই গ্রামের মৃতঃ তমিজ উদ্দিনের ছেলে মোতালিব হোসেন গংরা জমি দখল নিতে ওই দিন সকালে এ ঘটনা ঘটায়। এরা নুরুল ইসলামের বসতবাড়ির শতাধিক গাছ কর্তন করে দুটি ঘরের মালামাল ভাংচুর করে। এতে তার লক্ষাধিক টাকা মালামাল ক্ষতি হয়। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দিয়েও মামলা রেকর্ড না হওয়ায় ঘটনার সাথে জড়িত ২২ জনকে আসামি করে রংপুর আদালতে মামলা দায়ের করেন। যাহার পেনাল এবং আদালতের স্মারক নং ৩২/২২ তারিখ ২৮/২/২২। আদালত প্রতিবেদন চেয়ে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ কে আদেশ দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ১৩ জন আসামি কে মামলা থেকে বাদ দিয়ে আদালতে প্রতিবেদন পাঠায়। বাদি নুরুল ইসলাম বলেন, তার নানা মৃতঃ তছির উদ্দিন এবং নানী কাচাই বিবির ছেলে সন্তানাদি না থাকায় তাদের একমাত্র কন্যা আমেনা বেগমের ছেলে নুরুল ইসলাম সোনাতলা মৌজার ৮ দাগে ৩ একর ৬৯ শতক জমিতে ঘরবাড়ি এবং কৃষি ফসলের চাষাবাদ করে আসছে। সোনাতলা গ্রামের মৃতঃ তমিজ উদ্দিনের ৩ ছেলে মোতাল্লিব মাষ্টার, আবদুল ওয়াদুদ, এরশাদ মিয়া নামের ৩ ব্যক্তি বর্তমানে প্রায় দুই একর জমি রেকর্ড করে নেন। তমিজ উদ্দিন এদের কোন সম্পর্ক নেই। মোতাল্লিব মাষ্টারের দাদা কফিল উদ্দিন চৌকিদার কুষ্টিয়া জেলা থেকে এসে সোনাতলা গ্রামের নুরুল ইসলামের নানার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। মাঠ জরীপের সময় এরা বদর আমীনের সাথে আঁতাত করে নিজেদের নামে কৌশলে রেকর্ড করে নেন। এদিকে নুরুল ইসলামের অশিক্ষিত হবার কারণে এ বিষয়টি বুঝে উঠতে পারেনি। এলাকাবাসীর কাছে এ ঘটনা জানতে পেরে ভাংচুর ঘটনার ৬ মাস আগে নুরুল ইসলাম রেকর্ড সংশোধনের জন্য ল্যান্ড সার্ভের মামলা দায়ে করেন। যাহার নং ১২৮৯/ ২১। তিনি আরও বলেন, ২২ জন ব্যক্তির নামে মামলা করা হয়েছিল। এর মধ্যে ১৩ জনের নাম বাদ দিয়েছে পুলিশ। অথচ বাদ দেয়া মোতাল্লিব মাষ্টারের স্ত্রী শাহনাজ, আচমা বেগম, মুন্নী বেগম,তার স্ত্রী রওশআরা বেগমের মাথার চুল ধরে দিবালোকে টানাহেঁচড়া করেছে। এ ছাড়া গাছ কর্তনসহ জমিতে ধান রোপণও করে অভিযুক্তরা। মামলার তদন্তকারী দারোগা পীরগঞ্জ থানার এসআই গোলজার হোসেন বলেন,ঘটনার সাথে যারা জড়িতছিল না তাদের নাম বাদ দিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।