দিঘলিয়া উপজেলা সাব -রেজিস্ট্রার অফিস কৎর্ক সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভূয়া ওয়ারিশকাম সার্টিফিকেটের মাধ্যমে দলিল রেজিস্ট্রি করার অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়,গত ইং ২০২২ সালে দিঘলিয়া উপজেলার ব্রহ্মগাতী গ্রামের পানিগাতী মৌজার জেএল নং-২৯ এর স্থলে -৩৬,এসএ-১৪৭ নং খতিয়ানে বিআরএস -১৪৩২ নংখতিয়ানের ০.৪৮ একর জমি সাত লক্ষ্য পঞ্চাশ হাজার টাকায় ভূয়া ওয়ারিশ কাম সার্টিফিকেট দাখিল পূর্বক ভূয়া দলিল রেজিস্ট্রি করা হয়েছে। আর এ ভূয়া দলিল রেজিস্ট্রি হয়েছে দিঘলিয়া উপজেলা সাব -রেজিস্ট্রি অফিস কর্তৃক ব্রহ্মগাতী গ্রামের জালিয়াতি চক্রের সদস্য দুলাল খান এর স্ত্রী মমতাজ বেগম ও পুত্র হোসেন খা ওই দলিলটির গ্রহীতা এবং জমির মালিকানা ওয়ারেশ হিসাবে ভূয়া ওয়ারেশকায়েম সার্টিফিকেট জামা করা হয়েছে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার ০৬ নং রাতইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের। যার স্মারক নং -রাইপ/৪১৯/২১ এবং তাং -১২/০৯/২০২১। ওই ভূয়া ওয়ারেশকায়েম সার্টিফিকেটে যাদেরকে ওই জমির ওশারিশ দেখানো হয়েছে তারা হলো - গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার মৃত রেজাউল হকের পুত্র (১) রাসেল হক,(২) কন্যা মোসাঃ নুরুন্নাহার বেগম,(৩) কন্যা রিপা খানম ও (৪) স্ত্রী মোছাঃ মোমেলা বেগম।
বিশ্বস্ত সূত্রে আরও জানা যায় ওই জমির প্রকৃত মালিকের আরও এক স্ত্রী ও সন্তানাদি রয়েছে। ওই জমির বিআরএস খতিয়ানে দলিলে উল্লেখ করা হয়েছে - ৫৫৬,৫৫৭,৭৪২ এবং জমির পরিমান -০.৩৪ + ০.২৯ + ০.৪৭ মোট ১.১০ একর জমি। কিন্তু ূদলিলে সুচতুর দুলাল খান এর স্ত্রী মমতাজ বেগম ও পুত্র হোসেন খার নামে মাত্র ০.৪৮ একর জমি সাব - কবলা দলিল রেজিস্ট্রি করা হয়েছে। আর দলিলটির লেখক দিঘলিয়া উপজেলার সাব - রেজিস্ট্রি অফিসের মোহরী নুর ইসলাম, সাং - চন্দনীমহল, সেনহাটি,দিঘলিয়া,খুলনা,যার সনদ নং - ০৬/৮৬, দৌলতপুর সাব - রেজিস্ট্রি অফিস,খুলনা। জানা যায় এ দলিল ছাড়াও একই দাতা একই কৌশলে ভূয়া ওয়ারেশকায়েম প্রত্যায়নপত্র জমা দিয়ে আরও দুইটি দলিল রেজিস্ট্রি করা হয়েছে দিঘলিয়া সাব - রেজিস্ট্রি অফিস কর্তৃক। এ ব্যাপারে মুঠো ফোনে কথা হায় নুর ইসলাম মোহরীর সাথে তিনি এ প্রতিবেধককে জানান,এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি তবে সরকারী রাজস্বের টাকা কিছু কম জমা দিয়া হয়েছিলো।
পরবর্তীতে ওই রাজস্বের কমকৃত টাকা জমা দিয়ে দিয়েছি। এ ব্যাপারে কথা হয় দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মোঃ মফিজুর রহমান মোড়ল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন শুনেছি সরকারের রাজস্ব ফাঁকির টাকা জামা দিয়ে ঘটনাটি মিমাংশা করে ফেলেছে। তবে কি মিমাংশা হয়েছে তা জানিনা৷। গত ২৬/০৯/২০২২ খ্রীঃ তারিখে ওই সম্পাদিত দলিলের সার্টিফাইড কপি পাইবার জন্য তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এর ১০ ধারা অনুযায়ী তথ্য চেয়ে দিঘলিয়া উপজেলা সাব - রেজিস্ট্রিার বরাবর আবেদন করেও কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে দিঘলিয়া সাব - রেজিস্ট্রি অফিসের অফিস সহকারী আঃ গনি সাংবাদিকদের বলেন - বিষয়টি নিয়ে দলিল লেখকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করছে। তদন্তে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্তা গ্রহন করা হবে। এছাড়াও দিঘলিয়া উপজেলার বিভিন্ন লোকজনের অভিযোগ দিঘলিয়া উপজেলা সাব - রেজিস্ট্রিার অফিসের আউট সোর্সিংহিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত মোঃ শাকিলই এ সকল অনিয়ম ও দূর্নীতির সাথে জড়িত। এ ব্যাপারে দলিলে উল্লিখত দাতা গনের নিজ ইউনিয়ন ০৬ নং রাতইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনজুরি ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করো বলেন ঘটনাটি সাবেক চেয়ারম্যান বিএম হারুন অর রশিদ ( পিনু ) এর সময়ে ঘটেছিলো তবে আমি ঘটনার সথ্যতা যাচাই - বাঁচাই করার জন্য ওয়ারেশকায়েম প্রত্যায়নপত্রের রেজিস্ট্রার খুজে পায়নি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ০৮ নং ঘোনাপাড়া ওয়ার্ডের মেম্মর শোহেল শেখের সাথে - ০১৯৪৮-০৫৭৪৮৩ নং মোবাইল নাম্বারে বারবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়ইনি। এ ব্যাপারে কথা হয় গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার ০৬ নং রাতইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিএম হারুন অর রশিদ ( পিনু ) এর সাথে তিনি ভূয়া ওশারেশকায়েম সার্টিফিকেটের কথা স্বীকার করে বলেন এ ঘটনা জমির প্রকৃত মালিক মৃত রেজাউল হকের পুত্র রাসেল হক গ্রহীতাদের সাথে আঁতাত করে এ কাজ করেছে। আমি রাসেল হকের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি এবং তাকে এহেন ঘটনার জন্য তাঁকে তিরস্কার করেছি। তবে এ ব্যাপারে ওয়ারেশদের মধ্যে কেউ অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে। বিষয়টি ওই জমির বাকি ওয়ারেশ গন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।