সীমান্তবর্তী শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড় অঞ্চলে চাষ হচেছ ভেষজ আমলকী ফল। আমলকীর জনপ্রিয়তা বহুদিনের। ক্রমেই বাড়ছে এর চাহিদা। গারো পাহাড়ের হাট বাজারে প্রচুর আমলকী বিক্রি হচ্ছে। ভাল দাম পাওয়ায় লাভের মূর্খ দেখছেন কৃষকরা।
অমলকী চাষী মো. সরোয়ার্দী দুদু মন্ডল বলেন, আমলকী পাহাড়ি ফল। ইতোপূর্বে গারো পাহাড়ে এমনিতেই আমলকী জন্মাতো। আমলকী রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। রুচি বর্ধক ফল হিসেবে সমাদৃত। অ্যাসিডিটিতে এক গ্লাস দুধ অথবা পানির সাথে আমলকীর গুড়া চিনি মিশিয়ে দৈনিক ২ বার খেলে ভাল হয়ে যায়। ভেষজ হিসেবে এর জনপ্রিয়তা পুরোনো। রোগ প্রতিরোধেও সহায়ক আমলকী। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট,ও ভিটামিন সি রয়েছে ডায়েটারী ফাইভার, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, প্রোটিন কার্বোহাইড্রেট, ক্যালসিয়াম, আইরন এবং ক্যারোটিন। তাই আমলকীর এত জনপ্রিয়তা ও চাহিদা। চুল পরিচর্যায়, গোড়া মজবুতিকরণ,চুল বৃদ্ধি- খুশকি দূর এবং চুল পাকা দূর করে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আমলকীর রস কোষ্ঠকান্যিতা ও পাইলস ছাড়াও বদহজম দূর করে। সর্দি-কাশি. লিউকেরিয়া, স্কার্ভি রোগ নিরাময় করে। ত্বকের উজ্জলতা বাড়ায়.কালো দাগ সারায় প্রতিদিন সকালে রসের সাথে মধূ মিশিয়ে খেলে। ফাইটো-কেমিক্যাল থাকায় চোখের প্রদাহ, দৃষ্টিশক্তি বাড়ানো, চুলকানী ভাল হয়। খেলে মূখের দুর্গন্ধ দূর- মাড়ি সুস্থ, মানসিক চাপ কমায়, বুক ধড়পর করে না, ঝুঁকি থাকে না হৃদরোগের। কফ-কাশি অনিদ্রা বমি,ব্যথা দূর হয়। শরীর ঠান্ডা রাখে, অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট কমায়, পেশি মজবুত, কার্যক্ষমতা বাড়ায়। আমলকী অনেক উপকারী ভেষজ ফল। কৃষকরাও ঝুকে পড়েছেন আমলকী চাষে। ভাল ফলন ও দাম পাওয়ায় তারা দারুণ খুশি। দ্রুত বাড়ছে চাষির সংখ্যা ও আগ্রহ। ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার বলেন, পাহাড়ি অঞ্চল আমলকী চাষের জন্য উপযোগী। কৃষি বিভাগের সহযোগীতায় এ অঞ্চলে আমলকী চাষ হচ্ছে। এতে কৃষকরা লাভের মূর্খ দেখছেন। ব্যাপক হারে আমলকী চাষ করে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশ-বিদেশে রফতানী ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।