বগুড়ার শেরপুর থানা পুলিশের সোর্স বলে খ্যাত শিপন আলীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক ভূক্তভোগী অসহায় পরিবার। মাদকের করাল গ্রাস থেকে ফিরে আসা ব্যক্তিকে পুনরায় মাদক ব্যবসা করতে চাপ দেয়া এবং মাসোহারা চাঁদা দাবী করে ওই পুলিশ সোর্স। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তাকে পুশি দিয়ে গ্রেপ্তার করিয়ে মাদক মামলা দেয়। এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিকার ও স্বাভাবিক জীবনযাপনে নিরাপত্তা চেয়ে ২৪ অক্টোবর সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় শেরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন মো. রিংকু শেখ। সে উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের ছোট ফুলবাড়ী গ্রামের মৃত আয়েন উদ্দিন শেখের ছেলে।
স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা রিংকু শেখ বলেন, একসময় বিভিন্ন প্রলোভনে পড়ে কিছু দিন মাদক সেবনে আসক্ত হয়েছিলাম। পরে আমি নিজের ভুল বুঝতে পেরে পরিবার ও আত্মীয় স্বজনের সহযোগিতায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসে গরু, ছাগল কেনাবেচার ব্যবসা করে আসছি। এমতাবস্থায় শেরপুর পৌর শহরের পালপাড়াস্থ মৃত মজনু মিয়ার ছেলে থানা পুলিশের সোর্স মো. শিপন আলী মাঝে মধ্যেই পুলিশের ভয় দেখিয়ে অন্যায়ভাবে টাকা দাবী করে থাকে। টাকা দিতে রাজী না হওয়ায় সে পুলিশ ডেকে এনে অন্যায়ভাবে আমার বিরুদ্ধে মাদক মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে। কিন্তু আমি মাদক ব্যবসা কোনদিনও করিনি। তারপরেও সে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গিয়ে মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করতো। এরপর আমি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসলে ওই পুলিশের সোর্স মো. শিপন আলী বেশ কয়েক মাস ধরে আমাকে পুনরায় মাদক ব্যবসা করার প্রলোভন দিয়ে আসছে। এবং প্রতিমাসে আমার কাছ থেকে মোটা অংকের মাসোহারা দাবী করে। এতে আমি রাজি না হওয়ায় সে আমার প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে গত তিন মাস আগে আবার একটি মাদকের মামলা দেয়। ‘অথচ যতবার শিপনসহ পুলিশ আমাকে ধরেছে একবারও আমার কাছ থেকে কোন নেশাজাতীয়(মাদকদ্রব্য)পায় নাই।’ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসলেও সোর্স শিপনের অন্যায় অত্যাচার ও চাঁদাদাবীর কারণে স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে না পারায় স্ত্রী সন্তান নিয়ে অতিকষ্টে জীবনযাপন করছে বলে এমন অভিযোগও তোলেন ভুক্তভোগী রিংকু শেখ।
এ ছাড়াও থানা পুলিশের সাথে অবৈধভাবে সখ্যতা থাকা শিপনের অন্যায় কর্মকা- ও মাসোহারা দাবী ও গ্রহন পুরো পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। সোর্স শিপনের কালো থাবা থেকে রক্ষা করে পুরো পুলিশ সমাজের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখার দাবীসহ সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে দিনাতিপাত করার সুযোগ চেয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ওই ভূক্তভোগী পরিবার। এ সময় তার স্ত্রী জোসনা খাতুনসহ ছোট্ট দুই নাতনী রিয়া ও সুরাইয়া উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে শিপন আলী বলেন, ওই মাদক ব্যবসায়ীর অভিযোগ মিথ্যা, সে আমাকে মাসোহারা তো দুরের কথা- এককাপ চা-ও কোনদিন খাওয়ায়নি।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আতাউর রহমান খোন্দকার বলেন, যদি কোন মাদক ব্যবসায়ী বা সেবককারী স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে তাহলে তাকে আইনি সহায়তা দেয়া হবে। তবে অন্যায়ভাবে কেউ যদি কাউকে হয়রানি করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।