ফরিদপুরের মধুখালীতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সৃস্ট জড়ো-বৃষ্টিতে উপজেলার সর্বত্র কৃষি ফসল ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। ঝড়ো-বৃষ্টির কারণে সোমবার সন্ধ্যা থেকে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা পুরাপুরি বন্ধ হয়ে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ১০টায় ১২ঘন্টা পর সচল হয়েছে। অধিকাংশ মোবাইল কোম্পানির নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল হয়ে সকালে সামান্ন্য আকারে চালু হয়েছে।
সোমবার সকাল থেকে সৃস্ট বৃষ্টি আর হালকা বাতাস বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকতে বাতাসের আর বৃষ্টির গতি। সন্ধ্যার সাথে সাথেই বাতাসের কারণে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। সন্ধ্যায় ঝড় আর বৃষ্টির গতির তীব্রতা বাড়ার ফলে কলা এবং আখের খেতের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। পানিতে তলিয়ে যায় রোপা আমনের জমি। রাস্তার পাশে গাছ পালা ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়।
কৃষি অফিসের প্রাথমিক হিসেব সূত্রে জানাগেছে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়ো-বৃষ্টিতে এ বছর রোপনকৃত ৮৬২০ হেক্টর রোপাআমনের মধ্যে ৫০ হেক্টর, মাসকলাই ১৫ হেক্টরের মধ্যে ১ হেক্টর, শাকসবজি ২৪১০ হেক্টরের মধ্যে ২০৫ হেক্টরের এবং ১১০ হেক্টর কলা চাষের মধ্যে ১০ হেক্টর ফসলের ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
মধুখালী পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের মেছড়দিয়া গ্রামের কলাচাষি মো. আসমত খন্দকার এ প্রতিনিধিকে জানান তিনি ৫০ শতাংশ জমিতে কলা চাষ করেছেন রাতের ঝড়ো-বৃষ্টিতে তার জমির ১শটি কলা গাছ ভেঙ্গে প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
এ বিষয়ে মধুখালী কৃষি কর্মকর্তা মো. আলভীর রহমান বলেন ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ফলে সৃস্ট ঝড়ো-বৃষ্টিতে কলা চাষিদের বেশি ক্ষতি হয়েছে। বেশির ভাগ কলা ভেঙ্গে গেছে এবং বাকিটা হেলে পড়েছে। রোপাআমন ধান বাতাসের কারণে হেলে পানিতে ডুবে গেলে পানি কমে গেলে সেটা ঠিক হয়ে যাবে। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে শাক-সবজির আংশিক ক্ষতি হয়েছে পানি কমার সাথে সাথে সেটা ঠিক হয়ে যারে। তবে আমরা এখনো সঠিক ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান নিরুপন করতে পারি নাই। এটা আমরা পরে জানিয়ে দেব।