কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুরে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রাত ভর বৃষ্টি ও প্রবল বাতাসে চলতি মৌসুমের আমন ধানের আবাদকে মাটিতে মিশে দিয়েছে।
এ বছর চর রাজিবপুরে ২৪ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে বলে চর রাজিবপুর কৃষি অফিস সুত্রে জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার উপজেলার কয়েক এলাকায় ঘুরে জানা গেছে, কিছু জমিতে আগাম জাতের কিছু ধান পাকলেও অধিকাংশ জমির ফসল ছিল থোরমুখী ও বাকী ধানে মাত্র শীষ দেখা দিয়েছে।
গত সোমবারের বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার কৃষকের প্রানের ফসল মাটির সাথে মিশে দিয়েছে। এতে প্রায় কৃষকের আবাদের অর্ধেক জমির ফসল নষ্টের পথে। ক্ষেতে ক্ষেতে কৃষকের কান্নায় আকাশ-পাতাল যেন ভারি হয়ে গেছে।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের বালিয়ামারী পশ্চিম পাড়া গ্রামের ক্ষুদ্র কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, সে এবার ২ বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছেন্ ঝড় ও বৃষ্টির পর জমিতে গিয়ে দেখেন তার দেড় বিঘা জমির আমন ফসল মাটির সাথে মিশে গেছে। তিনি এ বলেই কেঁদে দিলেন।
করাতি পাড়া গ্রামের জরিপ উদ্দিন জানান, গেল ১০ দিন আগে অকাল বন্যায় আমার ১ বিঘা জমির আমন ধান ডুবে পচেঁ গেছে। বাকীটুকু বাতাশে মাটির সাথে মিশে দিয়েছে। আমার এ বার খুব কষ্ট হবে সংসার চালানো।
এরুপ শত কৃষক কান্না ও আহাজারীতে দিনানিপাত করছে। এ ব্যাপারে রাজিবপুর কৃষি অফিস থেকে খাইরুল ইসলাম জানান, তাদের জরিপে সিত্রাংয়ের প্রভাবে ৮০ হেক্টর জমির আমন ধান মাটিতে পড়ে গেছে। আর কয়েক দিনের আগের বন্যায় ৬০ হেক্টর জমির আমন,৪০ হেক্টর জমির বাদাম ও ২০ হেক্টর জমির মরিচ নষ্ট হয়েছে।