রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গণিপুর ইউনিয়নের আক্কেলপুর গ্রামে গত ১৯ অক্টোবর সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়ে চারজন কে আহতের ঘটনায় মামলার আসামীদের এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। উল্টো আসামিরা হুমকি-ধামকি দিয়ে বেড়াচ্ছে বলে জানা গেছে। এনিয়ে মামলার বাদি আফাজ উদ্দিন পরিবার পরিজন নিয়ে আশংকায় রয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা যায়, উপজেলার গণিপুর ইউনিয়নের আক্কেলপুর গ্রামের মৃত মেছের শাহ এর ছেলে আফাজ উদ্দিনের গাছের ডাল কাটা নিয়ে একই গ্রামের মৃত শরিয়ত শাহ এর ছেলে কামাল শাহ, কামাল এর ছেলে মিনারুলের সঙ্গে আফাজ উদ্দিনের ছেলে জুয়েল এর বাক-বিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে কামাল, মিনারুল, মনির শাহ এর ছেলে রবিউল ও সেলিম এবং কামালের স্ত্রী মিনা একত্র হয়ে হাসুয়া, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জুয়েলের উপর হামলা চালায়। এ সময় হাসুয়ার কোপে জুয়েলের বাম হাত কেটে যায়। এরপর লোহার রড দিয়ে জুয়েলের মাথায় আঘাত করলে মাথা ফেটে যায়। চীৎকার শুনে জুয়েল কে রক্ষায় তার পিতা আফাজ উদ্দিন, আফাজের ভাই আজাদ এবং আফাজের স্ত্রী জুলেখা এগিয়ে আসলে তাদের উপরও সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। হাসুয়ার কোপ, লোহার রড ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে তারা সকলেই রক্তাক্ত জখম হয়। প্রতিবেশীরা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এখনো তারা অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুর রাজ্জাকসহ অন্তত দশজন জানান, গ্রামাঞ্চলে এধরনের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় বিস্মিত হয়েছেন। অচিরেই আসামীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন তারা। আসামীদের গ্রেপ্তার না করায় পুুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক বলে এলাকাবাসী মনে করছেন।
যোগাযোগ করা হলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক রেজাউল ইসলাম জানান, আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।