রাজশাহীর পুঠিয়ায় নয় দিন অতিবাহিত হলেও থানা পুলিশ অজ্ঞাত লাশের নাম পরিচয় বাহির করতে পাড়েনি। নাম পরিচয় বাহির না হওয়ার জন্য,উপজেলার সাধনপুর এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ২২ অক্টোবর শিলমাড়িয়ার ইউনিয়নের স্ত্রীরামপুর গ্রামের ডোবাই অজ্ঞাত যুবকের লাশ পুলিশ উদ্ধার করেছে। অদ্যাবধি লাশের নাম পরিচয় পুলিশ উদঘাটন করতে পাড়িনি। কারণ,অতীতে সাধনপুর এলাকায় নিষিদ্ধ দল এবং সস্ত্রাসীবাহিনীর অভয়ারণ্য ছিল। বর্তমানে এখানে ২৫/৩০জনের সন্ত্রাসী মাদক বিক্রেতা বাহিনীর অত্যাচারে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়ার অভিযোগ রয়েছে। এই বাহিনীকে স্থানীয় রাজনৈতিকভাবে পৃষ্ঠপোষতা করা হচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে কথা বলার কেউ সাহস পাচ্ছে না। স্থানীয় সন্ত্রাসী গ্রুপটি,র্দীঘদিন ধরে শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন এলাকায় প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি সন্ত্রাসী মাদক বিক্রি করে আসছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাধনপুর এলাকার একাধিক ব্যক্তিরা জানায়, সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই সন্ত্রাসী গ্রুপটি এমন কোনো খারাপ কাজ নাই, যে তারা করে না। এই গ্রুপের দুইজন নেতৃত্ব দিচ্ছেন। একজন শিলমাড়িয়া এলাকার গনপ্রতিনিধির ঘনিষ্ট স্বজন, অপরজন প্রভাবশালী নেতার আরাক স্বজন। এই দুই গ্রুপের পৃষ্ঠপোষতা দেওয়ার কারণ হলো, আগামী শিলমাড়িয়া ইউনিয়নে নির্বাচনে এদের কাজে লাগাবে। সাধনপুর নদীর ভেতরে থাকা রাবারডাম্প এলাকা, পঙ্গু শিশু নিকেতন এলাকায় অপরিচিত কোনো ব্যক্তি আসলে তাদের বিভিন্ন কায়দায় জিম্মি করে টাকা সোনার গহনা কেড়ে নিয়ে তাড়িয়ে দেয়। ভুক্তভোগিরা ঝামেলা এড়াতে থানায় কোনো অভিযোগ বা মামলা করে না। গ্রুপের সদস্যরা পুরো শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন এলাকায় কোনো প্রকার পারিবারিক ঝামেলা হলে,এই গ্রুপের সদস্যরা টাকার বিনিময়ে তা সমাধান করে দেয়। গভীর রাত পর্যন্ত নদীর পার্ক এলাকায় নারি ব্যবসা, জুয়া খেলা, মাদক খাওয়া এবং বিক্রি করে থাকেন। পুঠিয়া সদর হতে সাধনপুর বাজার ১৮ কিমি দুরত্ব। সন্ত্রাসী এলাকা হওয়ার কারণে,সাধনপুর বাজারে একটি পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে। তারপরও সন্ত্রাসী বাহিনীর তৎপরতা বন্ধ হচ্ছে না। এলাকাবাসীদের ধারণা, অজ্ঞাত ব্যক্তিটি হয় তো দেশের অন্য কোনো এলাকার সস্ত্রাসী গ্রুপের জন্য। এই এলাকায় কোনো খারাপ কাজের লেনদেন করতে এসে, সাধনপুর এলাকার সস্ত্রাসীবাহিনী হত্যা করতে পাড়ে।
এ ব্যাপারে থানার ওসি সোহরাওয়াদী হোসেন বলেন, এখনো পর্যন্ত উদ্ধারকৃত লাশটির কোনো নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে আমরা ময়না তদন্ত শেষে আঞ্জুমান মফিদুলের মাধ্যমে লাশের দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। বিভিন্ন মাধ্যমে হত্যাকান্ডের রহস্য উৎঘাটনের চেষ্টা চলছে। উদ্ধারকৃত লাশের ময়না তদন্তের পাশিপাশি তার ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।