যশোরের অভয়নগর উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়নে রাশিদা খাতুন নামে এক অসহায় নারীর বসতঘর ভাঙচুর ও বাঁশের বেড়া দিয়ে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৯ অক্টোবর) ভোর রাতে উপজেলা শ্রীধরপুর ইউনিয়নের শংকরপাশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী রাশিদা খাতুন রোববার রাতে অভয়নয়গর থানায় ছয় জনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযুক্তরা হলেন, শংকরপাশা গ্রামের শফিকুল মুন্সীর ছেলে জিলানী মুন্সী, একই গ্রামের আলমগীর মুন্সীর তিন ছেলে রায়হান মুন্সী, আল আমিন ও শাকিল মুন্সী এবং মৃত ছত্তার মুন্সীর দুই ছেলে মোস্তাক মুন্সী ও আলমগীর মুন্সী।
অভিযোগকারী রাশিদা খাতুন বলেন,‘অভয়নগর উপজেলার শংকরপাশা মৌজায় এসএ খতিয়ানে ৭৯০, আরএস- ২০১, সাবেক দাগ- ১৭৬৩, বর্তমান আরএর ৩৫৬৯ দাগে ৯৫ শতক জমির মধ্যে ২৩.৭৫ শতক জমি ক্রয় সূত্রে আমার স্বামী মৃত আবদুল খায়ের মুন্সীর নামে রয়েছে। উল্লিখিত ছয় জন ওই জমি দখলের চেষ্টা করলে ২০১৮ সালে বিজ্ঞ আদালতে আমি ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৪৪ ধারায় মামলা করি। যার মামলা নং- ৯০/১৮। এরপর থেকে তারা বিভিন্ন অপকৌশল অবলম্বন করে আমার ওই জমি দখলের চেষ্টা করে আসছে। চলতি বছরের গত ২৯ অক্টোবর শনিবার ভোর আনুমানিক ৬ টার দিকে উল্লিখিত ব্যক্তিরা দেশীয় অস্ত্র সহকারে আমার দখলে থাকা জমিতে প্রবেশ করে এবং একটি কাঁচাপাকা বসতঘর ও রান্নাঘর ভাঙচুর করেন। যার ক্ষতির পরিমান আনুমানিক দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা। ভঙচুর ও দখলের সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভাঙচুর চলাকালে আমার মেয়ে রাজিয়া সুলতানা বাধা দিলে তাকে ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে তারা জোরপূর্বক ওই জমিতে বাঁশের বেড়া দিয়ে চলে যায়। বর্তমানে তাদের ভয়ে আমি আমার পরিবার নিয়ে চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। ঘটনার পরদিন রোববার রাতে হামলা, ভঙচুর ও দখলকারী ছয় জনের বিরুদ্ধে অভয়নগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।’
অভিযুক্ত জিলানী মুন্সী তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘রাশিদা খাতুন সম্পর্কে আমার চাচি হন। ওই জমি আমাদের বংশীয় জমি। স্থানীয় আমিনের মাধ্যমে জমির ফয়সালা হওয়ার পর বাঁশের বেড়া দিয়েছি।’
এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) একেএম শামীম হাসান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’