বোনের ওয়ারিশের জমি মাদ্রাসার নামে ওয়াকফ করে দিয়েছেন এক ভাই। বিষয়টির সমাধান চেয়ে শেরপুর নালিতাবাড়ীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী বোন।
সূত্রে জানা গেছে, নালিতাবাড়ী উপজেলার বাগিচাপুর গ্রামের মো: আবদুস সালাম গোরস্থান বাজার এলাকায় ২০ শতক জমি মাহিউল উলুম নূরানিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার নামে ওয়াকফ করে দিয়েছেন। এই ওয়াকফ করা জমিতে বোন কদবানুর ওয়ারিশ আছে বলে দাবি করেন।
কদবানু ও তার স্বামী সন্তানেরা জানায়, মহর উদ্দিন মৃত্যু কালে পুত্র আবদুস সালাম ও কদবানুসহ তিন কন্যা রেখে যান। পরে বোনদের সকল সম্পদ ভোগ দখল করে থাকে একমাত্র ভাই আবদুস সালাম। একসময় বোনেরা জানতে পারে যে, সালাম গোরস্থান বাজারে একটি মাদ্রাসার নামে ২০ শতক জমি ওয়াকফ করে দিয়েছেন। যাতে বোনের ওয়ারিশ বিদ্যমান।
স্থানীয় এলাকাবাসী আলাল উদ্দীন জানান, কদবানু ওই জমিতে ওয়ারিশ পায়। তাই সালাম তার নিজের জমি ওয়াকফ করতে পারে বোনেরটা নয়।
আব্দুস সালাম জানায়, ওই জমিতে বোনের ওয়ারিশ রয়েছে তা ঠিক। তবে আমি বুঝতে পারিনি। ভুলে লিখে দিয়ে ফেলেছি। তাছাড়া আমি যে মাদ্রাসাকে লিখে দিয়েছিলাম এখন সেই মাদ্রাসা নেই। দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসা ওই জমিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
রুপনারায়নকুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আল আমিন বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। বাদী পক্ষ জানিয়েছে। তাছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি অভিযোগ করেছে কদবানু। যা রুপনারায়নকুড়া ইউনিয়নের উপসহকারী কর্মকর্তা ভূমি কে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
রুপনারায়নকুড়া ইউনিয়নের উপসহকারী কর্মকর্তা ভূমি মো: রোকনুজ্জামান জানান, অভিযোগটি আমার কাছে রয়েছে। বাদীর কাগজপত্র পেলেও আমি বিবাদীদের কাগজপত্র নিয়ে অফিসে আসতে একাধিকবার বলেও কোনো ফলাফল পাচ্ছি না। উভয় পক্ষের কাগজপত্র দেখতে পারলে দ্রুত প্রতিবেদনটি করতে পারতাম।