মশার বংশ বিস্তার ও উপদ্রব রোধে বাড়ির আশপাশের ঝোঁপঝাড়সহ বাসার ছাদবাগান পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে নগরবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মুস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
তিনি বলেছেন, সম্প্রতি ঢাকায় এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। রংপুরে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব নেই, তবে আমাদের সতর্ক ও সচেতন হতে হবে। বাড়ির আশপাশের ঝোঁপঝাড় এবং বাসার ছাদবাগান পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ময়লা-আবর্জনার স্তুপ ও দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা পানিতে মশার বংশবিস্তার সুযোগ থাকে। আমরা নগরবাসী এসব বিষয়ে সচেতন হলে মশক নিধন কার্যক্রম সফল হবে।
মঙ্গলবার (০১ নভেম্বর) সকালে মহানগরীর শাপলা চত্বর শ্যামা সুন্দরী খাল ব্রিজ সংলগ্নে মশক নিধন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে সিটি মেয়র এসব কথা বলেন।
এসময় রংপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন মিয়া, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান মঞ্জু, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শাখার তিন জোনের প্রধান মিজানুর রহমান মিজু, হাসান রাহি, শাহিনুর রহমান শাহিনসহ সিটির অন্যান্য কর্মকর্তা, কর্মচারী ও স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করার লক্ষ্যে মশক নিধনে চিরুনি অভিযান রয়েছে। শুধু তাই নয়, মশাবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে মশার উৎপত্তিস্থলে অর্থাৎ ড্রেন, নালা, জলাশয় ক্যানেলে মশক নিধনে লার্ভিসাইড ও এডাল্টিসাইড স্প্রে করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা যদি সবাই মিলে মশার বংশবিস্তার রোধে সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি ব্যক্তি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর মাধ্যমে মশক নিধনে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার উপর কাজ করতে পারি, তাহলে মশার উপদ্রব আপনাআপনি কমে যাবে। নগরবাসীর প্রতি আমার অনুরোধ, শ্যামাসুন্দরী খালে ময়লা আবর্জনা ফেলে মশার প্রজনন কেন্দ্র তৈরি করবেন না। আমরা সিটি করপোরেশন গত বছর থেকে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী মশক নিধন কার্যক্রম রেখেছি। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া শুধু কামান ব্যবহার করে মশা তাড়ানো কক্ষকর ব্যাপার, এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
মশক নিধন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা হেঁটে হেঁটে শ্যামাসুন্দরী খালের দুপাশ ঘুরে দেখেন। পরে শাপলা চত্বর বটতলা মোড়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।