কসবা উপজেলার পুরাতন বাজারে মঙ্গলবার গভীর রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৯টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বৈদ্যুতিক শর্ক সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে বলে জানা গেছে। ক্ষতিগ্রস্থদের দাবী করছেন এ অগ্নিকাণ্ডে তাদের কমপক্ষে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
দমকল বাহিনী, উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কসবা পৌর শহরের পুরাতন বাজারের তরকারি পট্টিতে সোমবার রাত দেড়টার দিকে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। দুই-তিনটি দোকানে আগুন দেখতে পায় বাজারের নৈশ্য পহরীরা ও স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে একে একে নয়টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। খবর পেয়ে রাত সোয়া দুইটার দিকে কসবার কুটি চৌমহনী ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় ঘন্টা ব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
পুড়ে যাওয়া দোকানগুলির মধ্যে রয়েছে সজিব দাস, শ্যাম্বু দাস, নারায়ন চন্দ্র দাসের তিনটি শুটকির দোকান, মিন্টু মিয়ার আলুর আড়ৎ, সাত্তার মিয়ার আলুর আড়ৎ, আনিস মিয়ার তরকার দোকান, অদির কর্মকার ও গুরুপদ কর্মকারের কামারশালা এবং আলমগীর মিয়ার গোডাউন।
নারায়ন চন্দ্র দাস বলেন, আগুনে পুড়ে তার প্রায় অর্ধ কোটি টাকার পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যমুনা আলুর আড়তের মালিক মিন্টু মিয়া বলেন, মালামালসহ পাইকারী দোকানের যাবতীয় কাগজপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সজিব দাস ও শ্যাম্বু দাস বলেন, বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলাম আগুনের খবর পেয়ে এসে দেখি সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
কসবা পুরাতন বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, কেউ কেউ বলছেন আলুর দোকান আবার কেউ বলছেন কর্মককারের দোকান থেকেই প্রথম আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না কোন দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
দুই-তিনটি দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়লে বাজারের নৈশ্য পহরী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আগুন দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে লোকজন ছুটে আসে। ৯টি দোকান পুড়ে গেছে। কোটি টাকারও বেশী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কসবার কুটি চৌমহনী ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট লিডার আবদুল্লা আল খালিদ বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ক সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। দুটি ইউনিট প্রায় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে এসেছে। তদন্ত করে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন করা হবে।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ উল আলম বলেন, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসাইনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে।