যুক্তরাষ্ট্র গত মঙ্গলবার বলেছে, রাশিয়া উন্নয়নশীল বিশ্বকে ‘ক্ষুধার্ত’ বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শস্য রপ্তানীর জন্যে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ইউক্রেনের সাথে চুক্তি থেকে রাশিয়ার বেরিয়ে আসার ঘোষণার পর গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করে। জুলাইতে এ শস্য চুক্তির সময়ে আলোচনায় তুরস্কও জড়িত ছিল। জাতিসংঘ বলেছে, সপ্তাহান্তে এ চুক্তি থেকে রাশিয়ার সরে দাঁড়ানোর ঘোষণার কারণে বুধবার থেকে শস্য রপ্তানী বন্ধ হয়ে যাবে। এ প্রেক্ষিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নিড প্রাইস বলেন, শস্য রপ্তানীর এই উদ্যোগকে ব্যাহত করার জন্য ক্রেমলিনের যে কোন সিদ্ধান্ত মূলত এমন একটি বিষয় যা মস্কো পাত্তা দেয় না। তিনি বলেন, বিশ্বের খাদ্য সংকটে মস্কোর কিছু যায় আসে না। মানুষ ক্ষুধার্ত থাকলেও মস্কোর কিছু যায় আসে না। বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তা সংকটের জটিলতাকেও মস্কো পাত্তা দিচ্ছে না। নিড আরো বলেন, চুক্তিটি পুনরুজ্জীবিত করতে জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেসের প্রচেষ্টাকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন দিয়েছে এবং যা করতে তিনি আমাদের জন্যে দরকারি বলে মনে করবেন তা করা হবে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শস্য করিডোর ব্যবহার করে ক্রিমিয়ায় রুশ জাহাজে হামলার জন্যে কিয়েভের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন এবং পরে ইউক্রেনের কাছ থেকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চান। পুতিনের এই দাবিকে রাশিয়ার ‘চাঁদাবাজি’ বলে উল্লেখ করেন প্রাইস। চুক্তির কোন পরিবর্তনকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন দেবে কি-না এর ধরনের এক প্রশ্নের জবাবে নিড বলেন, এ বিষয়ে কাজ চলছে। তিনি জাতিসংঘের তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, প্রায় এক কোটি মেট্রিক টন খাদ্য পাঠানো হয়েছে যা দিয়ে বিশ্বের খাদ্য মূল্য কমানো যাবে। তিনি আরো বলেন, খাদ্যের প্রতিটি আউন্স বিশ্বের ক্ষুধার্তদের জন্য অত্যন্ত জরুরি। বাসস