রাজশাহীর বাঘায় সাব্বির হোসেন (১৬) নামের এক স্কুল ছাত্রকে হত্যাকারী মুন্না হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের হাবাসপুর বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিকে ছিনতাই হওয়া ভ্যানের ব্যাটারি ক্রেতা মাইনুল ইসলামকে ১৫৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গ্রেফতার মুন্না হোসেন (১৮) বাউসা ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে। পরে হাবাসপুর বাজারের মাইনুল ইসলামের দোকান থেকে ছিনতাই হওয়া চারটি ভ্যানের ব্যাটারি জব্দ করা হয়েছে।
নিহত সাব্বির হোসেন উপজেলা বাউসা ইউনিয়নের আড়পাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ও হায়দার আলীর ছেলে।
বাঘা থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, মুন্না হোসেন ভ্যান ছিনতাইয়ের পর সাব্বিরকে হত্যা করে। পরে ভ্যানের চারটি ব্যাটারি হাবাসপুর বাজারের মাইনুল ইসলামের কাছে ৮ হাজার ৫৮০ টাকায় বিক্রি করে। হত্যার কারণ হিসাবে পুলিশের কাছে মুন্না শিকার করেন, এক লোকের কাছে থেকে সুদের উপর টাকা নেওয়া ছিল মুন্নার। পাওনাদার তাকে টাকার জন্য চাপ দিতে থাকলে অস্থির হয়ে উঠে মুন্না। একপর্যায়ে সাব্বির হোসেনকে কৌশলে ভ্যান ভাড়া করে ঘুরতে যায়। এদিক-সেদিক ঘুরে অনেক রাতে ফাঁকা রাস্তায় তাকে গায়ের চাদর দিয়ে স্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে ভ্যানের ব্যাটারি খুলে নিয়ে ভ্যান ও লাশ ফেলে চলে যায়। বিশেষ তথ্যের ভিত্তিতে মুন্নাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে ছিনতাই হওয়া ভ্যানের ব্যাটারি ক্রেতা মাইনুল ইসলামকে ১৫৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মাইনুল ইসলাম মনিগ্রাম ইউনিয়নের হাবাসপুর গ্রামের তজিম উদ্দিনের ছেলে।
উল্লেখ্য, সাব্বির হোসেন রোববার স্কুল ছুটির পর বিকাল ৪টার দিকে বাবার ব্যাটারিচালিত ভ্যান নিয়ে ভাড়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। বাড়ি ফিরে না আসায় বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান মেলাতে পারেনা পরিবার। একপর্যায়ে সাব্বিরের চাচা শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে বাঘা থানা একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে সোমবার দুপুরে উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের আটঘরিয়া এলাকার চারঘাট ঈশ্বরর্দী সড়কের পাশে একটি আমবাগান থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ব্যাটারিবিহীন ভ্যানটি পাওয়া যায়।
কিন্তু নিখোঁজের তিন দিন পর বুধবার (২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মনিগ্রাম গ্রামীণ ব্যাংকের পেছনে তুলসিপুর বজলু মাস্টারের আমবাগানের ক্যানেল থেকে সাব্বির হোসেনের লাশ উদ্ধার করা হয়।