সম্প্রতি জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে ভোট করায় রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানে বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকসহ জেলা, উপজেলা দলীয় পদধারী নেতার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (২ নভেম্বর) মোহনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক রাবিয়া খাতুন সীমা এই অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ অক্টোবর রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল অংশ নেয়। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয় আক্তারুজ্জামান। কিন্তু মোহনপুর উপজেলা সদর বাকশিমইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মান্নান দলীয় এমপিসহ অন্যান্য নেতাকর্মীদের কথা অমান্য করে আপন দুই ভাইকে নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী আখতারুজ্জামানের পক্ষে ভোট করেন। এতে করে মোহনপুর ভোট কেন্দ্র আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বিদ্রোহী প্রার্থীর কাছে তিন ভোটে পরাজিত হন। তবে জেলার সকল ভোট কেন্দ্রের ফলাফলে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়াও আবদুল মান্নান দলীয় নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরও থেকে দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ জনগণের সাথে খারাপ আচারণ করেন বলে, অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা আওয়ামীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারার ফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি ফোন না ধরায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
মোহনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুস সালামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে সাংগঠনিক নিয়ম অনুসারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযুক্ত বাকশিমইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসকল অভিযোগ করা হয়েছে, তা সঠিক না। আমি প্রথমে থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল হোসেনের পক্ষে ভোট করেছি।