কুড়িগ্রামের রৌমারী ও চিলমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।
চিলমারী উপজেলায় আনারস প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রুকুনুজ্জামান (শাহীন)। রৌমারীতে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমান আলী। এ দুই উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই দুই উপজেলার ১১৪টি কেন্দ্রে ইভিএম-এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোট গণনা শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম রাকিব ফলাফল ঘোষণা করেন।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দুই উপজেলা নির্বাচনে শুধু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দল এ নির্বাচনে অংশ নেয়নি। এর মধ্যে চিলমারী উপজেলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীসহ পাঁচ জন এবং রৌমারী উপজেলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীসহ সাত জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জানান, চিলমারীতে আনারস প্রতীক নিয়ে বিজয়ী প্রার্থী রুকুনুজ্জামান পেয়েছেন ১৬ হাজার ২০৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সোলায়মান আলী সরকার ১৪ হাজার ৩৬২ ভোট পেয়েছেন।
অন্যদিকে, রৌমারীতে ঘোড়া প্রতীকে বিজয়ী প্রার্থী ইমান আলী পেয়েছেন ২২ হাজার ২১৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৫৯২ ভোট। এ উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলামের অবস্থান চতুর্থ। তিনি পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৪১৪ ভোট।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম রাকিব বলেন, ‘কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ও অভিযোগ ছাড়াই নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। চলতি বছরের ৪ জুলাই রৌমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল্লাহ ও ২২ অগাস্ট চিলমারী উপজেলা চেয়ারম্যান শওকত আলীর মৃত্যুতে পদ দুটি শূন্য হয়।
উল্লেখ্য, রৌমারী উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট ৭জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরমধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মিনু (নৌকা প্রতিক), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীপ্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম শালু (কাপ পিরিচ), উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাইদুল ইসলাম মিনু (হেলিকপ্টার), যাদুরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী (দোয়াত কলম) প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। অপরদিকে আরএসডিএ সাবেক নির্বাহী পরিচালক ইমান আলী (ঘোড়া), সাবেক ব্যাংকার আলমগীর হোসেন (মোটরসাইকেল) ও প্রভাষক মাইদুল ইসলাম (আনারস প্রতিক) নিয়ে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এদিকে চিলমারী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দীতা করেন ৫ জন প্রার্থী। এই উপজেলায় মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দীতা করেন যুবদল নেতা মো: আসাদুজ্জামান, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দীতা করেন বিশিষ্ট ঠিকাদার মো: জোবাইদুল ইসলাম বাদল, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দীতা করেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও রমনা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো: নুর ই এলাহী তুহিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দীতা করেন উপজেলা জাতীয় পাটির নেতা সহকারি অধ্যাপক মো: রুকুনুজ্জামান (শাহীন) এবং নৌকা প্রতীক নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দীতা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও প্রয়াত উপজেলা চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকার বীর বিক্রম এর বড় ভাই এবং প্রাথমিক ও গনশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী স্থানীয় সংসদ সদস্য মোঃ জাকির হোসেন এর শশুড় মো: সোলায়মান আলী সরকার।