তিন কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় কারা অধিদপ্তরের সাময়িক বরখাস্ত উপণ্ডমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজনস) বজলুর রশীদকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারিক (নিম্ন) আদালত। এ দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে করা আপিল আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের যে আদেশ দিয়েছিলেন আদালত, সেটি স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। আপিল আবেদনের বিষয়ে শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান। এর আগে গত ২৩ অক্টোবর জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৩ কোটি টাকার বেশি সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কারা কর্তৃপক্ষ থেকে বরখাস্ত হওয়া পুলিশের উপণ্ডমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বজলুর রশিদকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এ ছাড়া তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। রাষ্ট্রের অনুকূলে তার তিন কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকা বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করা হয়। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর মামলায় বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর বেলা ১১টা থেকে বজলুর রশীদ ও তার স্ত্রী রাজ্জাকুন নাহারকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুপুরে দুদক পরিচালক মো. ইউসুফের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করে।