দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সেদ্ধ ও আতপ চাল অব্যাহত আছে। তবু কমছে না দাম। উল্টো কেজিপ্রতি বেড়েছে ৪ থেকে ৫ টাকা। আমদানিকারকরা বলছেন, ডলার সংকটের কারণে চাল আমদানি কম করছেন ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি জ¦ালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় পরিবহন খরচও বেড়েছে। এ কারণে দাম কমছে না। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) হিলি বন্দরের আমদানিকারকদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় হিলি বন্দরের আমদানিকারক অভিষেক এন্টার প্রাইজের মালিক অভিষেক আগারওয়ালার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ব্যাংকগুলো এলসি সীমিত করায় চাল আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।’ তিনি আরও বলেন, ‘বুধবার (২ নভেম্বর) স্বর্ণা-৫ জাতের সেদ্ধ চাল ৪৮ থেকে ৪৯ টাকায় বিক্রি করেছি। আর বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) বিক্রি করছি ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজি দরে। জ¦ালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় পরিবহন খরচও বেড়েছে। যার প্রভাব পড়ছে চালের দামের ওপর। তাই চালের দাম কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে।’
আমদানিকারক মেসার্স জয়নাল আবেদীনের প্রতিনিধি গোলাম রব্বানী বলেন, ‘সেদ্ধ চালের পাশাপাশি আতপ চালও আমদানি করি। তবে, চাল আমদানি কমে গেছে। আতপ চাল স্থানীয় বাজারে বিক্রি হয় না। আতপ চাল মূলত চলে চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলে। সেই আতপ চালের দামও বেড়েছে কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা।’ তিনি আরও বলেন, ‘বুধবার প্রতিকেজি আতপ চাল ৩৮ থেকে ৩৯ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আর বৃহস্পতিবার বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪১ টাকা কেজি দরে।’
হিলি বাজারের খুচরা চাল বিক্রেতা মামুন হোসেন বলেন, ‘হিলিবন্দর দিয়ে চাল কম আমদানি হচ্ছে। তাই কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা দাম বেড়েছে। আমরা বন্দর থেকে চাল কিনে ১ থেকে ২ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করি।’
হিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের বন্দর বিষয়ক সম্পাদক ও আমদানিকারক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘ভারত থেকে চাল আমদানি কমে যাওয়ায় দাম কিছুটা বেড়েছে। বুধবার স্বম্পা কাটারি চাল প্রতিকেজি ৬৪ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অথচ বৃহস্পতিবার বিক্রি হচ্ছে ৬৭ টাকা কেজি দরে।’
হিলি কাস্টমস-সূত্রে জানা গেছে, বুধবার হিলিবন্দর দিয়ে ৬টি ভারতীয় ট্রাকে ২৯০ মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল ও ৭টি ভারতীয় ট্রাকে ৩১৭ মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানি হয়েছে।