বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা কালুরপাড়-কাঠিরা-দুশমি রাস্তা একটি দীর্ঘদিনেও সংস্কার না হওয়ায় চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর। উপজেলা এলজিইডি বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের কালুরপাড় ব্রীজ থেকে কাঠিরা বাহজার হয়ে দুশমি বাজার পর্যন্ত রাস্তাটি দীর্ঘদিনেও সংস্কার না হওয়ায় বড় বড় খানাখন্দ হয়ে একটু বৃষ্টিহলেই যানবাহন ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন আগৈলঝাড়া উপজেলা সদরে অফিস-আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বাজারের ব্যবসায়ী, স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার লোকজন যাতায়াত করছে। রাস্তাটির কিছু জায়গায় ভেঙ্গে গিয়ে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পরেছে। ওই রাস্তায় চলাচলকারী অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে প্রায়ই। এলাকাবাসী এলজিইডি বিভাগে বারবার সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসলেও কোন কাজ হয়নি। রাস্তার গর্ত আর খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুল, কলেজ ও বাজারে আসা পথচারী ও যানবাহন চালকদের। পথচারী ও গাড়ির যাত্রীদের দুর্ভোগ পৌঁচেছে চরমে।
কাঠিরা গ্রামের বাসিন্দ রির্চাড বিশ্বাস, বিপ্লব হালদার বিল্যু, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সুদীন অধিকারী জানান, রাস্তা জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় খানাখন্দ। এর মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা ও ভ্যান, ইঞ্জিনচালিত যানবাহন চলাচল করছে। সরকারি শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজ, বিএইচপি একাডেমী, এসএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় শতশত শিক্ষার্থী ও আগৈলঝাড়া উপজেলা সদরে অফিস-আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারী সহ বিভিন্ন শ্রেণীরলোকজন এ ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে।
ইজিবাইক চালক আজিজ ফকির বলেন, রাস্তায় অনেক খানাখন্দ থাকায় প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। এ রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে অসুস্থ রোগীদের অবস্থা নাজুক এবং সুস্থ-সবল মানুষও অসুস্থ হয়ে পরছে।
আগৈলঝাড়া উপজেলা প্রকৌশলী শিপলু কর্মকার এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের জানায়, আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করছি। বরাদ্দ্য পেলে রাস্তাটি অতিদ্রুত সংস্কার করাহবে।