ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া এলাকায় ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। পরবর্তীতে ইশরাকের গাড়ি বহরে থাকা নেতাকর্মীরা পাল্টা হামলা চালায়। এ সময় গাড়ি বহরের আটটি গাড়ি ভাংচুর ও পাল্টা হামলায় প্রায় দশটি মোটরসাইকেল ও স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাংচুর করা হয়।
হামলা ও পাল্টা হামলায় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতকে বরিশালে যেতে দেয়া হয়নি। গৌরনদী থেকে তার গাড়ি ঢাকার দিকে ঘুরিয়ে দেয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে।
গাড়িবহরে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ইশরাক হোসেন বলেন, আমাদের সমাবেশগুলোতে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ সরকারকে ভীত করেছে। গণজোয়ার আটকাতে না পেরে সমাবেশস্থলে যাওয়ার পথে পথে স্থানীয় আওয়ামী লীগ-যুবলীগ এবং ছাত্রলীগ দিয়ে বাঁধার সৃষ্টি করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা দমে যাবার নেতা নই। সকল বাঁধা মোকাবেলা করে সমাবেশস্থলে এসেছি।
শনিবার সকালে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন বরিশালের বিভাগীয় সমাবেশের উদ্দেশে রাজধানী ঢাকা থেকে গাড়ি বহর নিয়ে যাত্রা করেন। পথে পথে তার গাড়ি বহরটি ব্যাপক বাঁধার শিকার হয়। একসময় গাড়ি বহরটি বরিশালের কাছাকাছি গৌরনদীর মাহিলাড়া বাজারে পৌঁছালে সেখানে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়।
হামলায় বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন অক্ষত থাকলেও ভাংচুর করা হয় তার পেছনে থাকা তারই বহরের আটটি গাড়ি। হামলায় গাড়িবহরে থাকা ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির ৩৮ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক সহিদুল হক সহিদ, বিএনপি নেতা মামুন ভূঁইয়া রকি, মোঃ রাসেল, বাবুল হোসেন ও খোকন, ৪০ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা ইমরান হোসেন, ৪২ নং ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য সচিব মাসুদ রানা এবং সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদল নেতা রকি ও আল আমিন আহত হয়েছেন।
একপর্যায়ে গাড়ি বহরের বিএনপি কর্মীরা নেমে সরকার দলীয় হামলাকারীদের ওপর পাল্টা হামলা চালায়। ওই হামলায় প্রায় দশটি মোটরসাইকেল ও মাহিলাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাংচুর করা হয়। এ সময় স্থানীয় যুবলীগের ছয়জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বরিশালের বিভাগীয় গণসমাবেশে অংশ নিতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত ঢাকা থেকে বরিশাল যাওয়ার পথে গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডে বাঁধার শিকার হন। সেখানে ৫০/৬০ জন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তার গাড়ি থামিয়ে হামলার হুমকি দিয়ে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে গাড়ি ঘুরিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ফিরে দেয়।