মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভাটেরচর দে,এ মান্নান পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির গঠনে নিয়ম অমান্য করে প্রকাশ্যে কণ্ঠ ভোটে শিক্ষক প্রতিনিধিদের মতামত নেওয়া সহ কয়েকটি বিষয়ে অনিয়মের অভিযোগ এনে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে অভিযোগ দায়ের করেন সভাপতি প্রার্থী মাহবুব উল্লাহ সিকদার। এদিকে আজ ( শনিবার) অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে বিদ্যালয়ে আসেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের এক কর্মকর্তা।
তদন্ত শেষে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক মোঃ মঈন উদ্দনি বলেন, একজনের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার সত্যতা অনুসন্ধানে আজ আমরা সরোজমিনে তদন্তে আসি। আমি প্রত্যেকের সাথে আলাদা আলাদাভাবে কথা বলেছি, কিছু জায়গায় সমস্যা পেয়েছি বিষয়গুলো ক্লিয়ার করতে বলা হয়েছে। কিসের ভিত্তিতে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা প্রকাশ্যে ভোট নিলেন তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়াও বেশ কিছু জায়গায় সমস্যা রয়েছে যেমন, বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন একজন ব্যাংক কর্মকর্তা তবে একটি বিদ্যালয়ের সভাপতি হবার জন্য তিনি ওই ব্যাংকের নিকট থেকে অনাপত্তি পত্র(ঘঙঈ) নেওয়ার কথা তবে তিনি এ ধরনের কোনো কাগজ দেখাতে পারেননি। ৩নং অভিভাবক সদস্য রেদওয়ান মাসুদের নাম ভোটার তালিকায় নেই। দাতা সদস্য নির্বাচনে কোন প্রকার নোটিশ অথবা প্রচারণা চালানো হয়নি। অভিভাবক শ্রেণির সদস্য পদে নির্বাচনে প্রতিটি মনোনয়নপত্র বিক্রি করা হয়েছে ২০ হাজার টাকায় যা ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করার কথা। এসব বিষয়ে তাদের কাছে ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছে। তাদের জবাব পাওয়ার পরে তদন্ত রিপোর্ট চেয়ারম্যান স্যার বরাবর জমা দিব।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক শাজাহান শিকদার বলেন, প্রকাশ্যে শিক্ষক প্রতিনিধিদের ভোট নেওয়ার ব্যাপারে তিনি সহ অনেকে প্রিজাইডিং অফিসার ও গজারিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাকির হোসেনকে নিষেধ করেছিলেন। জাকির হোসেন তাদের নিষেধ কানে তুলেননি। প্রকাশ্যে সবার সামনে ভোট দেওয়ার কারণে শিক্ষকরা ভয় পেয়েছেন। এখানে তাদের ব্যক্তিগত মতামত তারা প্রকাশ করতে পেরেছেন নাকি কারো চাপের কাছে নতি স্বীকার করতে করেছেন এটাই দেখার বিষয়।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাকির হোসেনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, প্রকাশ্যে ভোট নেওয়ার বিধান আছে। আমি মেনেই এটি করেছি।
উল্লেখ্য,গত ১৯ সেপ্টেম্বর ভাটেরচর দে,এ মান্নান পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচনে শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে প্রকাশ্যে শিক্ষক প্রতিনিধিদের ভোট নেওয়ার অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এক পক্ষকে সহায়তা করেছেন বলে অভিযোগ তুলেন নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী মাহবুব উল্লাহ শিকদার।