নীলফামারীর সৈয়দপুরে মিথ্যে মামলায় এক শিক্ষককে ফাসিয়ে পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্ঠি করা হচ্ছে। কোন কোন সময় বহিরাগত লোককে দিয়ে টাকা দাবি করা হচ্ছে। তাদের দাবি পুরণ না করলে মিথ্যে মামলায় সারা জীবন জেলের ভাত খাওয়ানোর হুমকি দেয়া হচ্ছে। এরই প্রতিবাদে আলহাজ¦ জুলফিকার রহমানের (হেলাল মাস্টার) বড় ছেলে মোহাম্মদ সাদমান এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেছেন। এ সময় বলা তার বাবা সম্পূর্ণ নির্দোষ, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তার এক নিকটাত্মীয়া বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রী মাদকাসক্ত ইষা ইবনাত ষড়যন্ত্রমূলক মিথা মামলা দিয়ে আমার বাবাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
গত ৫ ডিসেম্বর দুপুরে স্হানীয় একটি হোটেলে আহূত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দবি করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার বাবা দীর্ঘ ৩৫ বছর সুনামের সাথে সৈয়দপুর ক্যান্ট পাবলিক স্কুল এ- কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। ইতোমধ্যে তিনি পবিত্র হজ¦ব্রত পালন করেছেন। অবসরের পর মসজিদে মসজিদে ইবাদত বন্দেগির পাশাপাশি ক্ষুদ্র পরিশরে কাঠের ব্যবসায় যুক্ত রয়েছেন। ঘটনার দিন গত ২ ডিসেম্বর তিনি ব্যবসার সূত্রে বাঙালী পুর নিজ পাড়ায় তার আত্মীয় আজিজুল ইসলামের বাড়িতে যান। সেখানে তার আগে থেকেই দুইটি গাছ কেনা ছিল। শ্রমিক নিয়ে গাছ দুটি কাটতে গেলে আজিজুল ইসলামের মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ঈশা ইবনাত আমার বাবাকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ শুরু করে। এ সময় আমার বাবা তাকে বলে আমি তোমার বয়সে এবং সম্পর্কেও বড়। তুমি আমার সাথে এমন ব্যবহার করতে পারনা। এ সময় আশপাশের লোকজন আমার বাবাকে চলে যেতে বললে বাবা ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। এরপর ঈষা ইবনাত ও তার মা থানায় গিয়ে আমার বাবার নামে মামলা দায়ের করেন। ঈষা ইবনাতের পরিবারের সাথে জমিজমা নিয়ে বিগত এক বছরেরও বেশী সময় ধরে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, মামলার এজাহারে বাদীনী তার মা মাহবুবা শারমিন ও মোঃ জাহিদুল ইসলাম (খোকন) উপস্থিত থাকার কথা বললেও তাদের উপস্থিতির কোন প্রমাণ পাওয়া যায় নাই। এমনকি আমার বাবাকে গ্রেপ্তারের আগে মোঃ জহিরুল হক (খোকন) আমাদের বাড়িতে এসে বলেন, আপনার স্বামীর নামে থানায় মামলা হচ্ছে এক লাখ টাকা দিলে বাঁচিয়ে দেওয়া হবে। আমার মা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে আমরা জানতে পরি ওই ব্যক্তি একই কথা বলে আমার বাবার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেছেন। এতে এই বিষয়টি স্পষ্ট যে, আমার বাবা ষড়যন্ত্রের শিকার। অন্যায়ভাবে আমার বাবাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। আমাদের পুরো পরিবার এজন্য বিপর্যস্হ।
তাই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে আমার বাবাকে অব্যাহতি দানের দাবি জানাচ্ছি।