ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। সোমবার (৭ নভেম্বর) সকালে দিবসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের থানা গেটের সামনে দিয়ে র্যালি বের করে সংগঠনটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের থানার সামনে ভিত্তিপ্রস্তরে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে। শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে র্যালিটি পার্শ্ববর্তী শেখপাড়া এলাকায় এসে শেষ হয়।
এসময় সংগঠনটির আহ্বায়ক সাহেদ আহমেদ ও সদস্য সচিব মাসুদ রুমী মিথুন এর নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ, রোকন উদ্দীন, সালাউদ্দিন রানা,উল্লাস মাহমুদ, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রাফিজ আহমেদ,নূর উদ্দীন,তরীকুল ইসলাম সৌরভ,রোকনুজ্জামান,আবু সাঈদ রনি,তামিম,স্বাক্ষর,আশহাদুল ইসলাম ও মামুনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এসময় সংগঠনটির আহ্বায়ক সাহেদ আহমেদ বলেন, দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সর্বদা সক্রিয় থাকবে বাংলা ছাত্রদল। বর্তমান অগণতান্ত্রিক, দখলদার ও লুটের স¤্রাজ্য গড়া আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাতে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল রাজপথে থাকতে বদ্ধপরিকর।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এ দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সিপাহি-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লব ঘটেছিল, যা দেশের তৎকালীন রাজনীতির গতিধারা পাল্টে দিয়ে দেশ ও জাতিকে নতুন পরিচয়ে অভিষিক্ত করেছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরবর্তী সেনা অভ্যুত্থান ও পাল্টা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে যখন চরম নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতি বিরাজ করছিল, তখন সিপাহি-জনতা মিলিত ঐক্যের এই বিপ্লব দেশ ও জাতিকে অনাকাক্সিক্ষত শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিয়েছিল। অভূতপূর্ব সেই বিপ্লব-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সাময়িক বন্দিদশা থেকে মুক্ত হন তৎকালীন সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান।