গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের জহুরুলহাট হাজী এলাহী উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেনির ছাত্রী মনিষা আক্তারকে গুম বা অপরহণ করা হয়নি। প্রেমিক সোহেল রানাকে বিয়ে করে আত্মগোপনে রয়েছে তারা। মনিষা দেওডোবা গ্রামের প্রবাসি মকবুল হোসেনের কন্যা এবং সোহেল রানা একই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। আদালতে মা চামেলী বেগমের দায়ের করা মামলা (সি.আর.নং-৫০০/২০২২, তারিখ-২০/১০/২০২২ইং) ভিত্তিহীন দাবি করে সোমবার উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে মনিষা। মনিষা জানান, দীর্ঘদিন হতে তাদের মধ্যে প্রেম ভালবাসা চলে আসছিল। এক পর্যায় গত ১০ আগস্ট মনিষা তার প্রেমিক সোহেল রানার সাথে পালিয়ে গিয়ে আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করে। এনিয়ে মনিষার মা চামেলীর বেগম থানায় অভিযোগ করলে পরবর্তীতে উভয় পরিবারের সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে লিখিত ভাবে অভিযোগটি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। এরইমধ্যে চামেলী বেগম স্বজনদের চাপের মুখে গত ২০ অক্টোম্বর আদালতে ফের গুম ও অপহরণের মামলা করে। বিজ্ঞ বিচারক মামলটি তদন্তের জন্য গাইবান্ধা ডিবি পুলিশকে দায়িত্ব দিয়েছে। মনিষা আরও বলেন বর্তমানে তারা ভাল আছেন। মামলার কারণে তারা আত্মগোপনে রয়েছে। চামেলী বেগম বলেন তার স্বামী বর্তমানে দেশের বাহিরে রয়েছে। সে কারণে পরিবারের সদস্যদের পরামর্শক্রমে আদালতে মামলা করেছে। তার মেয়ে পালিয়ে গিয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে প্রেমিককে বিয়ে করেছে সেটি তিনি জানেন। বামনডাঙ্গা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক শফিকুজ্জামান সরকার জানান, এনিয়ে মনিষার মা থানায় অভিযোগ করেছিল। পরবর্তীতে পারিবারিক ভাবে মিমাংসা হওয়ার পর অভিযোগটি প্রত্যাহার করে নেয় মনিষার মা। মনিষা গুম বা অপহরণের বিষয়টি সঠিক নয়।