সীমান্তবর্তী ও হিমালয় পাদদেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রাম। এ জেলায় জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। দিনে গরম আর সন্ধ্যা হলেই হালকা কুয়াশায় ঠান্ডা বাড়ছে। রাত হলেই ঠান্ডা কিছুটা বেশী অনুভূত হয়। দিনের তাপমাত্রা অনেকটা সহনীয় থাকলেও সন্ধ্যা হতেই তা হ্রাস পেতে শুরু করছে। তাই শীত নীবারণের জন্য অনেকেই লেপ-তোষক তৈরি করছেন। এদিকে শীতের আগমনে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ধনুকর কারিগররা।
সোমবার শহরের কালীবাড়ী বটতলা বাজারের লেপ-তোষক তৈরির কারিগর হোসেন আলী জানান, করোনার কারণে গত দুই’বছর ভালো ব্যবসা হয়নি। এবছর লেপ-তোষক তৈরির বেশ অর্ডার পাওয়া যাচ্ছে, আশাকরি এবার ব্যবসা ভালো হবে। একটি লেপ তৈরি করতে প্রায় ২হাজার টাকা লাগে। আমরা প্রতিদিন ৪-৫টি লেপ-তোষক তৈরি করছি।
লেপ তৈরী করতে আসা কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার কামার পাড়ার বাসিন্দা মোজাফ্ফর আলী জানান, দিনে বেশ গরম কিন্তু রাতে অনেক ঠান্ডা লাগে বেশী শীত আসার আগে দুইটি লেপ তৈরির অর্ডার দিলাম। একটি আমার নিজের অপরটি মায়ের জন্যই এ লেপ বানানো।
শীতের আগমনের ব্যাপারে রাজারহাট আবহাওয়া কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মোঃ আবদুস সবুর জানান, নভেম্বর শুরু হওয়ার সাথে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে এবং তা পর্যায়ক্রমে আরো বাড়বে। বর্তমান তাপমাত্রা ১৯ থেকে ২৯ডিগ্রিতে ওঠানামা করছে।