রবি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় গম, ভুট্টা, সরিষা ও শীতকালীন পেঁয়াজসহ নানা ফসলের বীজ এবং রাসায়নিক সার পেলেন শেরপুরের ঝিনাইগাতীর ৪ হাজার ১শ জন কৃষক। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা কৃষি প্রশিক্ষণ সেন্টারে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান এসএমএ ওয়ারেজ নাইম। এ উপলক্ষে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল কবির। এতে বক্তব্য দেন উপেজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন দিলদার, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নাদিয়া আখতার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শ্রী বিশ্ব জিৎ রায়, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম প্রমুখ।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে রবি মৌসুমে গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম, সয়াবিন, শীতকালীন পেঁয়াজ, মুগ, মসুর ও খেসারির আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ৪ হাজার ১শ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক এ প্রণোদনার আওতায় বিনা মূল্যে বীজ ও সার পাবেন। তন্মধ্যে ৩ হাজার জনকে ১ কেজি করে সরিষা বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি এবং এমওপি সার, ৯শ জনকে ২০ কেজি করে গম বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি এবং এমওপি সার, ১শ ৮০ জনকে ২ কেজি করে ভুট্টা বীজ, ২০ কেজি করে ডিএপি ও ১০ কেজি করে এমওপি সার, ২০ জনকে ১ কেজি করে শীতকালীন পেঁয়াজ বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি এবং এমওপি সার দেওয়া হয়েছে। একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় বীজ ও সার পাবেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাজেট কৃষি পুনরবাসন সহায়তা খাত থেকে এ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে।