রংপুরের পীরগঞ্জে গত বুধবার বিষ প্রয়োগে ২ টি গরু ও পুকুরে মাছ মেরে ফেলা হয়েছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের হামিদপুর গ্রামের খাজা মিয়ার ২টি গরু ও পুকুরে গ্যাস বড়ি প্রয়োগ করে এ অপকর্ম করা হয়েছে বলে অভিযোগে প্রকাশ। ওই গ্রামে জামাই শ্বশুরের দীর্ঘদিনের মনোমালিন্য থাকার সুবাদে জামাই আশরাফুলের দিকে সন্দেহের আঙুল তুলেছেন শ্বশুর খাজা মিয়া। জানা গেছে, ঘটনার দিন তাদের মধ্যে স্কুলের একটি জমিতে রোপনকৃত গাছ লিজ নেয়া নিয়ে বাক-বিতন্ডা হয় এবং সেই রাতেই কে বা কারা গরু ও মাছ মেরে ফেলে। এ ঘটানার জের ধরেই জামাই ও মেয়ের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অভিযুক্ত জামাই আশরাফুর ইসলাম জানান, আমার সাথে তাদের কোন দ্বন্দ্ব নেই। আমি কেন তাদের এমন ক্ষতি করতে যাব ? আমি চাই এ ব্যাপারে সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনা হোক। এ ছাড়াও আমাকে তারা যে মিথ্যা,বানোয়াট ভাবে দোষারোপ করছে তা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছি না। তিনি আরও বলেন,আমার শ্যালিকা ইতোমধ্যে কয়েক জায়গায় বিয়ে করেছে এবং এক জায়গা থেকে টাকা নিয়ে অন্য জায়গায় বিয়ে করে। কিছুদিন পূর্বেও এক স্বামীর ঘর ভেঙ্গে টিভি,ফ্রিজ,খাটসহ অনেক জিনিস নিয়ে এসেছে। ঐ স্বামীই আমার শ্যালিকে গরু কিনে দিয়েছিলেন। এমনকি তার সাথেও তাদের আন্তর্দ্বন্দ্ব রয়েছে। ভুক্তভোগীর মেয়ে আশরাফুলের স্ত্রী খাদিজা খাতুন জানান, আমার স্বামী এ কাজ করতে পারে না,সে রাতে কোথাও যায়নি। পুরো রাত সে আমার সাথেই ছিল। তাই আমার স্বামীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তাদের মেয়ে হিসেবে মেনে নিতে পারছি না। এ ব্যপারে খাজা মিয়া জানান, জামাইয়ের সাথে আমার মনোমালিন্য গাছের বাগান নিয়ে। সে যে আমার এ কাজ করবে তা আমার জানা ছিল না। শ্বাশুড়ী পোষাগী বেগম জানান, আমি এ ব্যাপারে কোন কিছু বলতে পারবো না। ছোট শ্যালিকা কাচমতি বলেন,আমার এ ক্ষতি আশরাফুল করেছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবি বলেন, অপরাধীর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করছি। সুষ্ঠু তদন্ত করে এ ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবিও এলাকাবাসীর।