ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনায় বাজার যাচাই করার কোনো সুযোগ নেই। কেননা এই মেশিনের সোর্স বা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান একটি। বুধবার নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
বাজার যাচাই না করেই ইভিএম কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে জিনিসের একটাই মাত্র সোর্স সে জিনিসের বাজারদর যাচাই করার সুযোগ নাই।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আ. হ. ম. মুস্তফা কামাল বলেছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে আমরা যেভাবে চেয়েছি, সেভাবেই সাড়ে চার বিলিয়ন (সাড়ে চারশ কোটি) ডলার ঋণ পাঁচ্ছি। আগামী ফেব্রুয়ারিতেই আমরা প্রথম কিস্তি পাবো। মোট সাত কিস্তিতে ২০২৬ সালের মধ্যে এই ঋণের পুরো টাকা পেয়ে যাবো।
অর্থমন্ত্রী আরও জানান, আমরা ফেব্রুয়ারিতে প্রথম কিস্তিতে পাবো ৪৪৭ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন ডলার। ছয় মাস পর পর ৫৫৯ দশমিক ১৮ মিলিয়ন করে সাত কিস্তিতে পুরো ঋণটা পাবো। পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ড দিয়ে পরবর্তী ১০ বছরের মধ্যে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে আইএমএফের পক্ষ থেকে কোনো শর্ত দেওয়া হয়নি। আমরা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যেসব বিষয় সংস্কারের কথা ভাবছি, তারাও একই কথা বলেছে।
চলতি বছরের ২৪ জুলাই ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ চেয়ে আইএমএফকে চিঠি দেয় বাংলাদেশ। ঋণ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করতে গত ২৬ অক্টোবর আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকায় এসেছে। এই দলের প্রধান ছিলেন রাহুল আনন্দ। সেই প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আজ বৈঠক ছিল অর্থমন্ত্রীর। এ বৈঠকেই বাংলাদেশকে ঋণ দেওয়ার বিষয়ে আজই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানান তারা।