চলতি শীতের মৌসুমে পাবনার সুজানগরের হাট-বাজারে এ্যাংকার ডাল ও আলোচালের গুড়া মিশিয়ে তৈরী করা ভেজাল কুমড়াবড়ি বিক্রি করা হচ্ছে। আর ভোক্তারা ওই ভেজাল কুমড়াবড়ি কিনে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাফিউল ইসলাম বলেন নিয়ম অনুযায়ী কুমড়াবড়ি মাশকালাইয়ের ডাল এবং চালকুমড়া দিয়ে তৈরী করার কথা। কিন্তু উপজেলার নিয়োগীরবনগ্রাম এবং মসজিদপাড়া এলাকার কতিপয় অসাধু ব্যক্তি অধিক মুনাফা লাভের আশায় কেবল নিম্নমানের এ্যাংকার ডাল এবং আলোচালের গুড়া মিশিয়ে ভেজাল কুমড়াবড়ি তৈরী করছে। সুজানগর পৌর বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারের কতিপয় অসাধু কুমড়াবড়ি ব্যবসায়ী ভেজাল ওই কুমড়াবড়ি কম দামে কিনে খাঁটি কুমড়া বড়ি বলে চড়া দামে অবাধে বিক্রি করছে। উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের আবদুর রশিদ বলেন শীতের মৌসুম শুরু হলেই ওই দু’টি এলাকার ১০/১৫জন ব্যক্তি মাশকালাইয়ের ডাল এবং চালকুমড়া ছাড়াই শুধু নিম্নমানের এ্যাংকার ডাল এবং আলোচালের গুড়া মিশিয়ে ভেজাল কুমড়াবড়ি তৈরী করে প্রতিকেজি দুই থেকে আড়াই‘শ টাকা দরে বিক্রি করেন। আর ভোক্তারা ভেজাল ওই কুমড়া বড়ি কিনে একদিকে প্রতারিত হচ্ছেন, অন্যদিকে তা খেয়ে পেটের পীড়াসহ নানা রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন শিগগিরই ভেজাল কুমড়াবড়ি তৈরীকারী এবং বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।