আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে বান্দরবানে বাড়ছে নিউমোনিয়া ও ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। ফলে জেলা সদর হাসপাতালে রোগীর চাপও বেড়েছে। বেড খালি না থাকায় মেঝেতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বান্দরবান সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ১৯ শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।এছাড়া হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে নিউমোনিয়ার চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে অনেকেই। একই সঙ্গে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১৯ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে এবং গত তিনমাসে জেলায় ৭৬৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বান্দরবান সদর হাসপাতালে দেখা যায়, শিশুদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড না থাকায় মহিলা ওয়ার্ডে শিশুদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে ওয়ার্ডে কোনো বেড খালি নেই। তাই বেড না পেয়ে হাসপাতালের মেঝেতেই চিকিৎসা নিচ্ছে অনেক শিশু। শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে ভর্তি হওয়া বালাঘাটা এলাকার চার বছর বয়সী আনিকা আফরার মা উম্মে হাসনা জানান, সপ্তাহ খানিক ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছিল আনিকা। ২৯ অক্টোবর, ২ ও ৫ নভেম্বরে ডাক্তার দেখিয়েছি। গত রাতে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় আফরাকে হাসপাতালে ভর্তি করাই। তবে বেড় খালি না থাকায় ফ্লোরে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এ বিষয়ে বান্দরবান সদর হাসপাতাল আবাসিক কর্মকর্তা (আরএমও) ডাক্তার এস এম ইকবাল বলেন, হাসপাতালটি ১০০ শয্যার হলেও পুরুষ-মহিলা দুই ভাগে বিভক্ত। পুরুষ ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যা কম হলেও শিশু-মহিলা মিলে রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় ফ্লোরে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বান্দরবান বান্দরবান সিভিল সার্জন ডাক্তার নীহার রঞ্জন নন্দী বলেন, ঋতু পরিবর্তনের কারণে বেশিরভাগ শিশুরা নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। তাই এ সময়টাতে পরিবারের পক্ষ থেকে শিশুদের বাড়তি যত্ন নিতে হবে। বাচ্চারা যাতে ঠাণ্ডা বা অতিরিক্ত গরম না লাগায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন, বান্দরবান পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় মশার উপস্থিতি বেশি। জেলায় আগে ম্যালেরিয়া, ট্রাইফয়েট, চিকনগুনিয়া রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি থাকলেও গত তিনমাস ধরে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। ডেঙ্গুর ধরণটি ক্লাসিক্যাল হলেও দ্বিতীয়বার একই রোগে আক্রান্ত হলে জীবননাশের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই মশা থেকে সতর্ক থাকার পাশাপাশি ঘুমানোর আগে মশারি ব্যবহার করতে পরামর্শ দেন তিনি।