নানা ইস্যুতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উত্যপ্ত হয়ে উঠেছে। যার প্রভাব এসে পরছে ঢাকাণ্ডবরিশাল ও ঢাকাণ্ডকুয়াকাটা মহাসড়কে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের অংশ হিসেবে কথায় কথায় মহাসড়কে ঘন্টার পর ঘন্টা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে। যেকারণে দুরপাল্লার যাত্রীদের অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সূত্রমতে, গত দুইদিনে পৃথকভাবে জেলার তিনটিস্থানে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারী বিএম কলেজ ও রহমতপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
এ ব্যাপারে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, নিজেদের দাবী আদায় করতে গিয়ে যেন হাজার হাজার মানুষকে দুর্ভোগে না ফেলা হয়, সেটা আমাদের আহবান থাকবে। পাশাপাশি আমরা একটি টিম তৈরি করেছি, যারা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সচেতনতামূলক উপদেশ দিয়ে আসে। তিনি আরও বলেন, সকলের কাছে আমাদের আহবান থাকবে, প্রতিষ্ঠানের সমস্যা যেন প্রতিষ্ঠানে বসেই সমাধান করা হয়। সাধারণ মানুষ যেন দুর্ভোগের স্বীকার না হয়।
সূত্রমতে, দ্বিতীয় বর্ষের মওকুফকৃত ছয়শ’ টাকা ফি তৃতীয় বর্ষে আদায়ের প্রতিবাদে সবশেষ ১০ নভেম্বর বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে অবস্থান নিয়ে ঢাকাণ্ডবরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে সরকারী বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা। প্রায় ঘন্টাব্যাপী অবরোধের পর কলেজ অধ্যক্ষর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।
এর আগে ফরিদপুরের ভাঙায় বেপরোয়াগতির সাকুরা পরিবহনের দুর্ঘটনায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন ইমনের মৃত্যুর ঘটনায় ৯ নভেম্বর সন্ধ্যা থেতে প্রায় পাঁচ ঘন্টা ঢাকাণ্ডকুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করেছে ববির শিক্ষার্থীরা। এর আগে অধ্যক্ষের অপসারণের দাবীতে ঢাকাণ্ডবরিশাল মহাসড়কের রহমতপুরে ঘন্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
সচেতন নাগরিক কমিটি বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি প্রফেসর শাহ সাজেদা বলেন, নানা ইস্যুতে কথায় কথায় শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের কারণে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার সব বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পরতে হচ্ছে। জনদুর্ভোগ হয় এ ধরনের আন্দোলন কর্মসূচি থেকে ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের বিরত থাকার জন্য তিনি জোর আহবান করেন।