জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের বড় রঘুনাথপুর গ্রামে একটি ছোট মসজিদের সন্ধান মিলেছে। স্থানীয়দের কাছে এ মসজিদটি মুন্সি বাড়ির মসজিদ নামে পরিচিত। ওই মসজিদটি এতোই ছোট যে, এখানে একজন ইমাম ও চারজন মুসুল্লীসহ মোট পাঁচজন একসাথে নামাজ আদায় করতে পারেন।
পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ফকির পাড়া কাটাখালী খালের পাড়ে অবস্থিত এ মসজিদটি রঘুনাথপুর গ্রামের ফকির পাড়ার বাসিন্দা হাজী মোঃ আরশাফ আলী মুন্সি প্রায় দুই যুগ আগে নিজ অর্থায়নে তার পৈত্রিক সম্পত্তির ওপর নির্মাণ করেছেন।
মসজিদের আকৃতি দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে ৮ থেকে ১০ ফুট। চারকোণের মসজিদটি ইট ও বালুর তৈরি। দেয়ালের উপরে একচালা টিনের ছাউনি। উঁচ্চতা, মাটি থেকে প্রায় ১০ ফুট। মসজিদটির একটি দরজা ও দুটি জানালা। দরজার উচ্চতা পাঁচ ফুট এবং প্রস্থে তিন ফুট। বাহিরের দেয়ালে লাল রং। ভিতরে ঝুলছে একটি বৈদ্যুতিক লাইট। বর্তমানে মসজিদের দেয়ালে ফাঁটল ধরেছে।
মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা হাজী মোঃ আরশাফ আলী মুন্সি বলেন, যখন মসজিদটি নির্মাণ হয় তখন অত্র এলাকায় লোকের বসতি খুবই কম ছিল। এখনো বাঁশের সাঁকো পার হয়ে ওই ছোট মসজিদে যেতে হয়। তিনি আরও বলেন, তখনকার সময় একসাথে নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে বেশি মুসুল্লী হতোনা। ফলে মসজিদটি সেই অনুসারে নির্মাণ করা হয়েছিল। ছোট মসজিদের কাছাকাছি এখনো কোনো মসজিদ নির্মাণ হয়নি। তাই এ মসজিদেই একাধিক জামাতে এখন প্রতি ওয়াক্ত নামাজ আদায় করছেন মুসুল্লীরা।
আরশাফ আলী মুন্সি আরও বলেন, মসজিদটি বড় করে নির্মাণ করার স্বপ্ন ছিল দীর্ঘদিনের। হয়তো মৃত্যুর আগে আর্থিক সংকটে সে স্বপ্ন পূরণ হবেনা। সমাজের মহানুভব ব্যক্তি ও সরকারীভাবে মসজিদটি বড় করে নির্মান করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে যতটুকু জমির প্রয়োজন তা আমি দিবো।