নীলফামারীর সৈয়দপুরে রয়েছে প্রায় দুই শতাধিক হোটেল রেস্তোরা। এর পাশাপাশি রয়েছে অভিজাত ফাস্টফুট ও রিসোর্ট। এগুলোর মধ্যে বেশ কিছু হোটেলে বিক্রি হচ্ছে বাঁসি খাবার। হোটেলে তৈরী খাদ্যদ্রব্য কোন কোন সময় রয়ে যায়। ওই রয়ে যাওয়া অবিক্রিত খাদ্য গুলো হোটেল মালিক রেখে দেন একটি পাত্রে। সকালে ওই বাঁসি খাবার গুলো গরম করে তা পরিবেশন করা হয় গ্রাহকের মাঝে। গরম থাকায় গ্রাহক বুঝতে পারে না এটা বাঁসি। আবার কোন কোন গ্রাহক নাকে শুকে গন্ধ বুঝতে পেরে খাওয়া থেকে বিরত থাকেন। বাঁসি খাদ্য গুলো টক ও গন্ধ লাগে। তাছাড়া এতে কোন স্বাদ থাকে না।
গ্রাহক রবিউল ইসলাম জানান,বাঁসি খাবার ফেলে দেয়া উচিৎ। কিন্তু হোটেল মালিক তা ফেলে না দিয়ে মানুষকে খেতে দিচ্ছে। এতে করে অনেকের পেটের অসুখ দেখা দেয়,বমি হয়।
উপজেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর সুত্র জানায়,আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি। তারপরও হোটেলে বাঁসি খাবার বিক্রি হয়ে থাকে।
তবে এ ধরনের কাজ যারা করছে তাদের হোটেলের নাম পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সৈয়দপুর বনিক সমিতির সভাপতি ইদ্রিস আলি জানান,পঁচা বাঁসি খাবার বিক্রি করা ঠিক না। এ খাবার খেয়ে মানুষের রোগ হতে পারে। যারা এ কাজ করে তাদের প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানোর দাবি তুলেন তিনি।
সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ আবদুর রহিম বলেন,পঁচা ও বাঁসি খাবার খাওয়া ঠিক না। এগুলো খেলে মানুষের শরীরে নানা প্রকার রোগ হয়ে থাকে।
সাংবাদিক সেকেন্দার আলি জানান,যারা মানুষকে পঁচা বাঁসি খাবার খাওয়ায় তারা মানুষ না জানোয়ার। এদের বিরুদ্ধে সকলকে রুখে দাঁড়াতে হবে। এ সকল ব্যবসায়িদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।