খুলনার পাইকগাছায় কপিলমুনি ১২ বছর বয়সের এক শিশু শিক্ষার্থীকে বেদম পিটিয়ে আহত করেছেন ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী। বিষয়টি জানাজানি হলে অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। জানাযায়, কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দির স্কুল এ- কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র উপজেলার দক্ষিণ সলুয়া গ্রামের বিষ্ণু দাশের ছেলে অঙ্কন দাশ বিদ্যালয়ের ভবনের গায়ে সাইকেল রাখে। সাইকেল রাখার অপরাধে ১০ নভেম্বর বুধবার সকাল ১১ টার দিকে প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর (ইনডেকস্ নম্বর ৭৫৯৯৩৯) শেখ আজিজুর রহমান ওই শিক্ষার্থীকে বেত দিয়ে বেদম পিটিয়ে আহত করেন। বেশ কিছু বেতের দাগ তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে। একজন অফিস সহকারী কর্তৃক এমন শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় অভিভাবক মহলে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। প্রসংগত শেখ আজিজুর রহমান ১৫ অক্টোবর ১৯৯২ তারিখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেন। তাঁর ১ অক্টোবর ১৯৯৩ তারিখে এমপিও হয়। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীর পিতা বিষ্ণু দাশ তার ছেলেকে পিটানোর সত্যতা স্বীকার করেছেন। অভিযুক্ত শেখ আজিজুর রহমানের বক্তব্য নেওয়ার জন্য ফোন দিলে সংবাদকর্মী পরিচয় পেয়ে ফোনটি কেটে দেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কবীর আহম্মেদ বলেন, বিষয়টি আমি শুনি নাই, শুনে বিষয়টি দেখবো।