সমৃদ্ধ বোলিং বিভাগ, ব্যাটিং লাইনআপেও দুর্দান্ত সব ক্রিকেটার। পাকিস্তান দলটি জো রুটের দৃষ্টিতে খুবই ভয়ানক। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে তাদের বিপক্ষেই লড়তে হবে ইংল্যান্ডকে। সতীর্থদের তাই সাবধান করে দিলেন দেশটির সাবেক টেস্ট অধিনায়ক রুট। ২০ ওভারের ক্রিকেটে পাকিস্তানের বিপক্ষে মুখোমুখি লড়াইয়ে অবশ্য অনেক এগিয়ে ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপে তো অজেয়! জিতেছে ২০০৯ ও ২০১০ আসরের দুই ম্যাচে। সব মিলিয়ে এই সংস্করণে দুই দলের ২৮ ম্যাচে ইংলিশদের জয় ১৭টিতে। তবে পাকিস্তান দল সবসময়ই ‘আনপ্রেডিক্টেবল।’ যেকোনো সময় ঘুরে দাঁড়িয়ে জন্ম দিতে পারে অভাবনীয় কিছুর। এবারের বিশ্বকাপেই যেমন খাদের কিনার থেকে উঠে এসে তারা এখন ফাইনালে। সুপার টুয়েলভ পর্বে ভারতের পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নাটকীয়ভাবে হেরে যায় পাকিস্তান। অনেকে তাদের সেমি-ফাইনালে খেলার আশা শেষ বলেই ধরে নেয়। কিন্তু নেদারল্যান্ডস তাদের জন্য সেই পথ খুলে দেয় অবিশ্বাস্যভাবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে। পাকিস্তানও সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজেদের শেষ ম্যাচ বাংলাদেশকে হারিয়ে ওঠে সেমি-ফাইনালে। দারুণ ছন্দে থাকা নিউ জিল্যান্ডকে শেষ চারের লড়াইয়ে তো তারা পাত্তাই দেয়নি। শাহিন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পর বাবর ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ফিফটিতে জিতে যায় ৭ উইকেটে। ২০০৯ সালের শিরোপাজয়ীরা এখন অপেক্ষায় আরেকটি ট্রফি ঘরে তোলার। ইংল্যান্ডও রয়েছে দারুণ ফর্মে। সুপার টুয়েলভের চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে তারা সেমি-ফাইনালে স্রফে উড়িয়ে দেয় শক্তিশালী ভারতকে। প্রতিপক্ষের ১৬৮ রান পেরিয়ে যায় ১০ উইকেট ও ৪ ওভার হাতে রেখে! দাপুটে এই জয়ের পর আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে থাকার কথা ২০১০ আসরের চ্যাম্পিয়নদের। তবে রুট পরামর্শ দিলেন মাটিতে পা রাখতে। ২০১৬ বিশ্বকাপ দলের অংশ ছিলেন রুট। সেবার ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তোলার স্বপ্ন ভাঙে ইংলিশদের। শিরোপা লড়াইয়ের আগে স্কাই স্পোর্টসে সতীর্থদের সতর্ক হওয়ার বার্তা দিলেন রুট। “তাদের দলে দারুণ কয়েকজন ম্যাচ-উইনার রয়েছে। তাদের বোলিং বিভাগ দুর্দান্ত এবং দলটিতে আছে খুবই প্রতিভাবান কয়েকজন ব্যাটসম্যান। টপ অর্ডারের দুইজনকে (বাবর ও রিজওয়ান) নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। লম্বা একটা সময় ধরে এই সংস্করণে তারা ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে চলেছে।” “তাদের দলে রয়েছে অসাধারণ কয়েকজন ক্রিকেটার। তারা (পাকিস্তান) খুবই ভয়ানক দল। তাই সফল হতে হলে ফাইনালে নিজেদের সেরা ছন্দে থাকতে হবে।” ভারতের বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে ইংল্যান্ডের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ রুট। তার মতে, এর চেয়ে ভালো পারফরম্যান্স আর হতে পারে না। “দুর্দান্ত পারফরম্যান্স (ভারতের বিপক্ষে)। তারা (ইংল্যান্ড) সঠিক সময়ে সেরা ছন্দ পেয়েছে। আমার মনে হয়, এখন পর্যন্ত দলের সেরাটা দেখা গেছে ওই ম্যাচে। টপ অর্ডারে দুই জন (বাটলার ও হেলস) কী অসাধারণ ব্যাটিং করল। আর ভারতকে নাগালে (১৬৯ রানের লক্ষ্য) রাখতে বোলাররাও দারুণ কাজ করেছে।” “দলীয় পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে, সেমি-ফাইনালে এর চেয়ে বেশি কিছু চাওয়ার নেই। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের চাপ সামলে ওই ধরনের পারফরম্যান্স স্রফে অসাধারণ।” পাকিস্তানের বিপক্ষে ফাইনালে আজ রোববার মাঠে নামবে রুটের সতীর্থরা। মেলবোর্নে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় শুরু হবে টি-টোয়েন্টির শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই।