নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেলওয়ের জমি নিয়ে চলছে প্রতারণা। সংঘবদ্ধ একটি চক্র এ প্রতারণার সাথে জড়িত। ইতোমধ্যে ওই চক্রটি শহরের বেশ কিছু ব্যবসায়িকে ভুল বুঝিয়ে কম মুল্যে সরকারী জমি লিজ নিয়ে দেবে এমন কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ জরা হয় সংবাদ সম্মেলনে। প্রতারকের ওই ফাঁদ থেকে বাঁচতে এবং প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে এক সংবাদ সম্মেলন করেন পৌর কাউন্সিলর বেলাল আহমেদ। তিনি ১৫ নভেম্বর ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন শেখ সাদ কমপ্লেক্সের সামনে।
এ সময় কাউন্সিলর বেলাল আহমেদ লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান। ওই লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন বাঙ্গালিপুর মৌজায় রেলওয়ের জমি উদ্ধার নিয়ে চলে অভিযান। বেশ কয়েক বার রেল কর্তৃপক্ষ অভিযান চালায় সেখানে। ওই অভিযানে বর্তমানে আতঙ্ক বিরাজ করছে জমি ভোগদখলকারীদের মধ্যে। আর এ সুযোগটুকু হাতছাড়া করতে নারাজ কতিপয় প্রতারক চক্র।
প্রতারক চক্র অনেক লোককে রেলওয়ের জমি নিজ নামে করে দেবে এমন ভুল বুঝিয়ে তাদের কাছ থেকে আদায় করে লাখ লাখ টাকা। এরইমধ্যে তারা ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে কারো কারো নামে লিজের কাগজ বের করে প্রচার করছেন। তবে এ পর্যন্ত কাউকে দেয়া হয়নি লিজের ওই ভুয়া কাগজ। মজার ব্যাপার হল ওই ভুয়া কাগজে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কোন সিল স্বাক্ষর নেই।
সম্প্রতি কাউন্সিলর বেলাল আহমেদের নামে প্রতারক চক্র সরকারী জমি লিজ দিয়েছি এটি প্রচার করছে। একটি ভুয়া নকশায় বেলাল আহমেদের নামও লেখা হয় লিজ গ্রহিতার তালিকায়। অথচ কাউন্সিলর বেলাল এ ব্যাপারে কোন কিছুই জানেন না। তিনি বলেন এটি প্রতারক চক্রের একটি ষড়যন্ত্র। আসলে আমি সরকারী কোন জমি লিজ নেইনি। প্রতারক চক্রের এমন কার্যকলাপে আমার সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। আমি এদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব।
তিনি আরও বলেন রেকওয়ের কতিপয় কর্মকর্তা কর্মচারী ওই প্রতারক চক্রের সাথে হাত মিলিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করছে। তাদের প্রতারণার বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জমি ভোগদখলকারী জাহিদুল ইসলাম, আজিজুল ইসলাম, জুলফিকার আলি, আঃ লতিফ ও আতিয়ার রহমান।