শ্রীমঙ্গলে বিপুল পরিমাণে লেবু ও আনারস উৎপাদিত হলেও প্রক্রিয়াজাতকরণের কোন ব্যবস্থা নেই। চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গল। ছোট-বড় মিলে দেশের সর্বাধিক ৪৪টি চা বাগানের অবস্থান এই শ্রীমঙ্গলে। রয়েছে উচুঁ নিচু টিলা। এ টিলায় চা বাগানসহ রয়েছে অসংখ্য আনারস ও লেবু বাগান।
শ্রীমঙ্গলের অন্যতম অর্থকরী ফসল চায়ের পরই রয়েছে লেবু ও আনারসের স্থান। বিলেতি ও ক্যালেন্ডার জাতের আনারস দেশখ্যাত। শ্রীমঙ্গলের আনারসের নাম জানা নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। শ্রীমঙ্গলে উৎপাদিত আনারসের সুমিষ্ট স্বাদ অতুলনীয়। সুস্বাদু এই আনারস সারাদেশে সুমাদৃত। শুধু আনারস নয়, এখন শ্রীমঙ্গলের লেবুর কদরও দিন দিন বাড়ছে।
যেখানে অনাবাদি জমি রয়েছে চাষিরা সেখানেও লেবু বাগান গড়ে তুলছেন। কাগজি, চায়না, জারা ও এলাচি লেবুসহ বেশ কয়েক জাতের লেবু চাষ হচ্ছে এখানে। বাণিজ্যিকভাবে এসব লেবু চাষ করছেন স্থানীয়রা। যতদূর চোখ যায় শুধু চোখে পড়বে লেবু ও আনারস বাগান। পাহাড়ি টিলা, পাহাড়ের ঢাল, ফসলি জমির মাঠ, বাড়ির আঙিনাসহ আনাচে কানাচে শুধুই লেবুর বাগান। স্থানীয়রা জানান, এ অঞ্চলের মাটি, জলবায়ু ও অনুকূল আবহাওয়ার কারণে শ্রীমঙ্গলে উৎপাদিত লেবু ও আনারসের গুণগতমান ও স্বাদ খুবই উন্নত। চাষীরা জানান, তাদেব প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রযুক্তিগত সহায়তা পেলে এবং অনাবাদি জমির সুষ্ঠু ব্যবহার করে আনারস ও লেবুর উৎপাদন বাড়িয়ে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব হবে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি জানান, শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ১২৩০ হেক্টর জমিতে লেবু জাতীয় ফল এবং ৪১০ হেক্টর জমিতে আনারস চাষ হয়। ভর মৌসুমে যখন এক সাথে প্রচুর লেবু-আনারস বাজারে আসে তখন কৃষকরা অনেক সময় ভাল দাম পায় না। অনেক সময় লেবু-আনারস পঁচে নষ্ঠ হয়। এখানে বিপুল পরিমাণে লেবু ও আনারস উৎপাদিত হলেও প্রক্রিয়াজাতকরনের কোনো ব্যবস্থা নেই। তিনি বলেন, শ্রীমঙ্গলে জেলী, জুস কারখানা বা প্রক্রিয়াজাত কেন্দ্র গড়ে উঠলে কৃষকরা ন্যায্য মুল্য পাবে। তাছাড়া স্থানীয় বেকার লোকজনের কর্মসংস্থানসহ বিদেশেও রপ্তানী করা সম্ভব হবে।