রাজশাহীর বাঘায় রহস্যজনক মৃত্যু খদেজা খাতুন সাগরি (১৮) নামের এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেন পুলিশ। খদেজা খাতুন সাগরি বাউসা ইউনিয়নের অমরপুর গ্রামের ইমন আলীর স্ত্রী।
এদিকে পুলিশ লাশ উদ্ধারের সময় তার গলায় একটি দাগ দেখতে পেয়েছেন। তবে এটি কিসের দাগ তা নির্নয় করতে পারেনি। স্বামীর পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে খদেজা খাতুন সাগরি বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে মারা গেছেন। অপর দিকে খদেজা খাতুন সাগরির মায়ের পরিবার থেকে দাবি করা হচ্ছে এ মৃত্যুর রহস্য রয়েছে।
এ বিষয়ে খদেজা খাতুন সাগরির স্বামী ইমন আলী বলেন, মঙ্গলবার দুপুরের খাবার রান্না করছিল আমার স্ত্রী। আমি ঘরে বসে টিভি দেখছিলাম। রান্নার প্রয়োজনীয় জিনিস নিতে পাশের ঘরে যায়। এরমধ্যে একটি শব্দ শুনতে পায়। দোঁড়ে ঘরে গিয়ে দেখি বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মেঝেতে পড়ে আছে। তাৎক্ষনিক ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার আগে তার মৃত্যু হয়েছে।
খদেজা খাতুন সাগরি মা পারভিন বেগম বলেন, আমার মেয়ের এর আগে কখনো গলায় কোন ধরনের দাগ ছিলনা। এ মৃত্যুর বিষয়ে রহস্য রয়েছে। তাই এর সুষ্ট তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে বাঘা থানার এসআই আবদুল আজিজ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। লাশ উদ্ধারের সময় তার গলায় একটি দাগ পাওয়া গেছে। তবে এটি কিসের দাগ তা নির্নয় করা সম্ভব হয়নি। ময়না তদন্দের রিপোট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
উল্লেখ্য, সান্তাহার পৌর এলাকার পারভিন-সাগর আলী দম্পতির মেয়ে খদেজা খাতুন সাগরিকে প্রায় ৯ মাস আগে প্রেম করে ইমন আলী বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে তাদের সংসার ভাল চলছিল বলে দাবি করেন ইমনের মা রুনা বেগম।