আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে প্রতিকার প্রার্থনা করে আশাশুনি থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
ইউনিয়নের বুড়িয়া গ্রামের মৃত মগর আলি গাজীর ছেলে আঃ রহিম বাদী হয়ে দাখিলকৃত অভিযোগ সূত্রে ও বাদীপক্ষ জানান, বিবাদী খাদেজা খাতুন ও তাদের বসবাস পাশাপাশি। তার স্বামী সিরাজুল গাজী আটন পাটার ব্যবসা করেন। বাদীও আটন পাটার ব্যবসা করেন। একটি মামলায় সিরাজুল কারাগারে সাজা ভোগ করছেন। ইতিপূর্বেও তিনি কারাভোগ করেছেন। সে সময় বাদীর ছেলে রাসেল বিজ্ঞ আদালত হতে ৫০ হাজার টাকা জামিনে আনে। এখনো ১০ হাজার টাকা শোধ দিতে বাকী আছে। এদিকে অন্য এক চেক জালিয়াতি মামলায় তার সাজা হয়েছে। সিরাজুল জেল থেকে তার সাথে কথা বলে জামিন নিতে অনুরোধ করলে সে প্রথমে রাজি না হলেও পারিবারিক কারণে সম্মত হয়। তাকে জামিনের জন্য বিভিন্ন খরচ যোগাতে বাদী বিভিন্ন লোকজন থেকে ২৫০০ টাকা সংগ্রহ করেন। টাকা ৩য় ব্যক্তি হারুনের কাছে জমা রাখতে চান। কিন্তু সিরাজুলের স্ত্রী পারভীন ১৩ নভেম্বর সকাল ৮.৩০ টার দিকে বাদীর উঠানে গিয়ে তার কাছে টাকা দিতে বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। বাদী মৌখিক প্রতিবাদ করলে তার মুখে ও গলায় খামচে জখম করে। এ সময় বাদীর স্ত্রী স্বামীকে ঠেকাতে গেলে তার উপর চড়াও হয়ে গায়ের জামা ছিড়ে দেয় এবং চড় কিল মেরে আহত করে। এ সময় ধাক্কা ধাক্কিতে সেও আহত হয়। পারভিন খাতুন, রাবেয়া খাতুন, লিলি ও রেশমা খাতুন জানান, বিবাদী খুবই হিংস্র ও চারিত্রিক ভাবে সমস্যাপূর্ণ। এনিয়ে তার বিরুদ্ধে কিছু বলতে গেলে তাকে চরম ভাবে বিপর্যস্ত করে থাকে। এ ব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।