নীলফামারীর ডিমলায় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এনামুল হক গ্রেনেটের বিরুদ্ধে গত (২৫ও২৬ অক্টোবর) ২২ইং তারিখ ঘুষ দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ হয় দেশের প্রথম শ্রেনীর বেশকিছু জাতীয় দৈনিক পত্রিকায়। ঘুষ দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিকদের মোবাইল ফোনে মামলার হুমকি প্রদান করেন।
এবং তার বিরুদ্ধে দেশের বেশকিছু প্রথম শ্রেনীর পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরেও ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহন অথবা বিষয়টি তদন্ত না করায় জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিমলা খাদ্য গুদামে সংশ্লিষ্ট একাধিক ডিলার মিলার ব্যবসায়ীরা অতিদ্রুত বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে দূর্নীতিবাজ খাদ্য নিয়ন্ত্রক এনামুল হক গ্রেনেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। কোন অজ্ঞাত কারণে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছেনা সে বিষয়েও প্রশ্ন উঠেছে জনমনে।
তিনি ঘুষ দূর্নীতির অভিযোগ থেকে বাঁচতে অভিনব কৌশলে ডিলার মিলার ও ব্যবসায়ীদের নিকট ঘুষ না নেওয়ার বিষয়ে তার ইচ্ছেমত গদ লিখে তাতে সবার স্বাক্ষর করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। যেখানে স্বাক্ষরগুলো একই কলমের এবং স্বাক্ষকারী অনেকেই বিভিন্ন মামলায় আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ভুক্ত পলাতক আসামি এতেই প্রতিয়মান হয় যে তিনি তাদের স্বাক্ষর জাল করেন।
এর আগে তিনি পরিচ্ছন্ন কর্মির ভুয়া নিয়োগ দেখিয়ে উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের আনোয়ার হোসেনের নামে তিন মাসের বেতন উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্দেগ হতদরিদ্রদের জন্য ১৫ টাকা কেজি দরে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় উপজেলায় নিয়োগ প্রাপÍ ৪১ জন ডিলারের প্রত্যেকের কাছে তিনি অফিসিয়াল খরচ দেখিয়ে ১০০০ টাকা করে মোট ৪১ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। খোলা বাজারের ৪ জন ডিলারের নিকট টন প্রতি ২০০ টাকা করে নেন ঘুষের টাকা।
চলতি মৌসুমে ধান ছাটাই হয় ৩৮৭ মেট্রিকটন সেখানে প্রতিটনে ২০০ টাকা করে মোট ৭৭ হাজার ৪০০ টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। ইতঃপূর্বে খন্ড কালীন পরিচ্ছন্ন কর্মী তহিদুল ইসলামকে গুদামের চাল চুরির দূর্নীতির সাথে জড়িত থাকার কারণে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তাকে খাদ্য নিয়ন্ত্রক এনামুল হক তার নিকট ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহন করে পুনরায় নিয়োগ প্রদানের পায়তারা করেন। বর্তমানে তহিদুল ইসলাম ডিমলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসে খন্ড কালীন পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। ডিমলা হিসাব রক্ষক অফিসের তথ্য অনুযায়ী জানাযায়, তহিদুল চলতি অর্থ বছরের জুন পর্যন্ত সরকারী ভাবে পরিচ্ছন্ন কর্মির বেতন ভাতা উত্তোলন করেন। খাদ্য নিয়ন্ত্রক এনামুল হক সরকারী নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে গ্রামের বাড়ী রংপুর জেলার কাউনিয়া উপজেলার মধুপুর হতে ডিমলায় কর্ম দিবসে সপ্তাহে দুদিন অফিস করেন। এবং কর্মস্থলে আসেন দুপুরে চলে যান বিকেল ৩টার মধ্যে। তিনি অফিস না করার কারণে উপজেলার প্রায় ২০০০ সুবিধাভোগি অনলাইনে তাদের নাম সংযুক্ত না করার কারণে প্রধানমন্ত্রীর হতদরিদ্রদের জন্য খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ২ মাসের চাল উত্তোলন হতে বঞ্চিত হয়েছে।