কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার বলিয়ার্দী ইউনিয়নের ৬নং দয়ারামপুর ওয়ার্ডে গত একদিনে ঘোড়াউত্রা নদীর ভাঙ্গনে একটি মহিলা মাদ্রাসাসহ ১২টি পরিবার ভিটে হারা হয়ে পড়েছে। হুমকীতে রয়েছে দয়ারামপুর জামে মসজিদ, শাহাপুর এবতাদিয়া মাদ্রাসাসহ আশেপাশের বাড়ী-ঘর যেকোন মূহুর্তে ভেঙ্গে যেতে পারে বলে গ্রামবাসিদের অভিযোগ। জানা যায়, গত বর্ষাকালীন সময়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড কিশোরগঞ্জ থেকে একশত মিটারের ৮ হাজার বালির বস্তা ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় ফেলেছিল। এর মধ্যে শুকনা মৌসমে ২০ মিটার বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে গেছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে। দয়ারামপুর ক্ষতিগ্রস্ত ভাঙ্গন কবলিত পরিবারের মধ্যে সাজ্জাদ হুসাইনের দুটি ঘর, মদিনাতুল মহিলা মাদ্রাসা, মহি উদ্দিন মিয়ার একটি ঘর, আবদুল হাকিমের মুদি দোকান, সাইজ উদ্দিনের একটি ঘর, দুধ মিয়ার একটি ঘর, শাহাবুদ্দীনের একটি ঘর, হযুফা বেগমের একটি ঘর, আবদুর রশিদের একটি ঘর, তহুরা খাতুনের একটি ঘর, মোছাঃ বেগমের একটি ঘর, কুলসুম বেগমের একটি ঘর, শরীফ মিয়ার একটি গরুর ঘর ভেঙ্গে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এতে ক্ষতির পরিমান প্রায় অর্ধকোটি টাকা হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। বিলীন হওয়া গরীব পরিবাররা আরও জানান, কোন সরকারি সহযোগিতা ছাড়া তাদের বাড়ি-ঘর নির্মান করার মত কোন উপায় নেই। গত একদিন ধরে এসব পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে বসবাস করে আসছে। হুমকীর মুখে দয়ারামপুর জামে মসজিদ, শাহাপুর কাদেমুল ইসলাম মহিলা মাদ্রাসা ও যেকোন মূহুর্তে ঘোড়াউত্রা নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে। কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রকিবুল আলম বুধবার দুপুরে এ প্রতিবেদককে বলেন, অবৈধভাবে একটি চক্র নদী থেকে বালী উত্তোলনের কারণে ঘোড়াউত্রা নদীর পাড়ের বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে গেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার দয়ারামপুর গ্রামটি তিনি নিজে পরিদর্শন করেছেন। কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ¦ মোঃ আফজাল হোসেন বলেন, তিনি নিজে খোঁজ খবর নিবেন বলে উল্লেখ করেন।