পশ্চিম বন বিভাগ সাতক্ষীরা রেঞ্জের মরাগাং বন টহল ফাঁড়ি ও কোবাতক বনস্টেশন অফিসের পৃথক অভিযানে সুন্দরবনে হরিণের মাংসসহ এক শিকারী আটক হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) রাত একটার দিকে মরাগাং বন টহল ফাঁড়ির ওসি সায়াদ আল জামির এবং কোবাতক বনস্টেশন অফিসার (এসও) ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে অভিযানে আবুল হোসেন গাজী নামে ঐ হরিণ শিকারী আটক হয়। তিনি উপজেলার ছোটভেটখালী গ্রামের কেরামত গাজীল ছেলে। এ সময় বনকর্মীরা হরিণ শিকারের কাজে ব্যবহৃত ২টি নৌকা ও একটি হিরোহোন্ডা মোটরসাইকেল জব্দ করে।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এ,কে,এম ইকবাল হোসেন চৌধুরী বলেন, সুন্দরবনে হরিণ শিকারের খবর গোপনে নিশ্চিত হয়ে পৃথক অভিযান চালানো হয়। এ সময় কোবাতক বনস্টেশন অফিসারের নেতৃত্বে বনকর্মীরা সুন্দরবনের সাবখালীর খাল থেকে ৫০ কেজি হরিণের মাংসসহ ২টি নৌকা জব্দ করা হয়। অভিযানের আগাম খবর টের পেয়ে শিকারী চক্র সুন্দরবনে সটকে পড়ে। অপর এক অভিযানে মরাগাং টহল ফাঁড়ির নেতৃত্বে বনকর্মীরা সুন্দরবন বাজার সংলগ্ন ব্রিজের উপর থেকে ২০ কেজি হরিণের মাংসসহ আবুল হোসেন নামের শিকারীকে আটক করা হয়। এ সময় হরিণের মাংস বহন কাজে ব্যবহৃত একটি হিরোহোন্ডা মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়। আটক শিকারীকে বন আইনে সাতক্ষীরা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। জব্দকৃত হরিণের মাংস মাটিতে পুতে বিনষ্ট করা হয়েছে।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে,সম্প্রতি সুন্দরবনে হরিণ শিকারী চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। উপকূলীয় অঞ্চলে বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত এক সপ্তাহ আগে ২০ কেজি হরিণের মাংসসহ আদম আলী নামে এক হরিণ শিকারীকে আটক করে বুড়িগোয়ালিনী বন অফিসের সদস্যরা।