গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার টোক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধীদের সরকারি ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম কবীরের বিরুদ্ধে সুজন ও মামুন নামে দুই শারীরিক ও বাক প্রতিবন্ধী মঙ্গলবার স্থানীয় সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার টোক ইউনিয়নের উলুসারা গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা বাবুলের পুত্র সুজন এবং একই গ্রামের মনসুর আলীর পুত্র মামুন। সুজন শারীরিক ও বাক প্রতিবন্ধী, তার জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার ১৫০৩৬৪৭১৫১৬। মামুন শারীরিক প্রতিবন্ধী, তার জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার ৭৩৫৮৭২৭৩৭৩। তারা উভয়েই স্থানীয় ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং তাদের ইউপি সদস্য মোঃ শফিকুল ইসলাম কবীরের বিরুদ্ধে তাদের সরকারি ভাতার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন। উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে প্রাপ্ত ভাতার কাগজপত্র ও প্রতিবন্ধী কার্ডটি কৌশলে ওই মেম্বার তাদের নিকট থেকে নিজের জিম্মায় নিয়ে নেয়। মেম্বার তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্ট নাম্বার জেনে নিয়ে টাকা উত্তোলন করে মামুনকে একবার কিছু টাকা দিয়ে বাকী টাকা আত্মসাত করেছে। প্রতিবন্ধীদের কার্ডে অন্যের ছবি সংযুক্ত করে দীর্ঘদিন যাবত ভাতা উত্তোলন করছে বলে তারা অভিযোগ করেন। প্রতিবন্ধীরা তাদের ভাতার টাকা না পেয়ে কার্ড ফেরৎ দেয়ার জন্য বার বার তাগাদা দেয়া সত্বেও মেম্বার তা ফেরৎ দিচ্ছেন না। বরং তাদের নানা ভাবে ভয়-ভীতি ও হুমকী দিয়ে তাড়িয়ে দিয়ে দাপটের সাথে বেড়াচ্ছেন।
অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম কবীর বলেন, মামুনের প্রতিবন্ধী ভাতা যখন আমার মোবাইলে আসে তখনি তাকে টাকাগুলো দিয়ে দেই। সুজন নামে কাউকে চিনি না। কতিপয় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের লোক শিখা নামের এক মহিলার মোবাইল সীম রিপ্লেস করে আমার স্ত্রীর নামে প্রতিবন্ধীর ভাতার টাকা পাঠিয়ে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করেছে।
এব্যাপারে কাপাসিয়া উপজেলা সমাজসেবা অফিসার রুহুল আমীনের সাথে বুধবার সকালে তার দপ্তরে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার টেলিফোনে বিষয়টি অবগত করেছেন। লিখিত অভিযোগটি হাতে পেয়ে ভালোভাবে জেনে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। কি ব্যবস্থা নিলেন, পরবর্তীতে অফিসে যোগাযোগ করে জেনে নেয়ার জন্য সাংবাদিকদের বলেন।