যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উন্নয়নে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ৭টি যুব উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের আধুনিক ভবন নির্মাণ, যুব প্রশিক্ষণের আধুনিক সরঞ্জমাদি সরবরাহ, অত্যাধুনিক ক্লাস রুম তৈরীসহ নানা উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। বুধবার (১৬ নভেম্বর) সকালে রংপুর সার্কিট হাউজে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর রংপুর জেলার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন এসব তথ্য জানান।
সচিব বলেন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে প্রায় সময় অভিযোগ পাওয়া যায় এখানে ঠিক মত প্রশিক্ষণ হয় না। কর্মকর্তারা তাদের কাজে ঠিকমত মনোযোগ দেন না। অনেকে প্রশিক্ষণ না দিয়ে টাকা উত্তোলন করেছেন। আমরা সেইসব কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। অনেককে চাকুরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেশের প্রতি মমত্ববোধ থাকতে হবে। আর্থিক অনিয়ম কোনভাবেই মেনে নেয়া যাবে না।
তিনি বলেন, যুব কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদানে পর্যাপ্ত সরঞ্জমাদির অভাব রয়েছে। এজন্য আমরা বিভিন্ন বিদেশী দাতা সংস্থার মাধ্যমে অধিদপ্তরকে ঢেলে সাজানোর কাজ করছি। আধুনিক যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো মনিটরিংয়ের জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। যা মন্ত্রনালয় থেকে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, দাতা সংস্থা মনিটরিং করবে। যুব উন্নয়নে প্রতিটি অফিস হবে স্মার্ট অফিস।
তিনি আরও বলেন, য্বু উন্নয়ন অধিদপ্তর অনেক ভালো কাজ করলেও তা প্রচারের অভাবে জনগণ জানতে পারছে না। সেলক্ষ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পদায়ন, পদন্নোতি নিয়ে জটিলতা নিরসনে আমরা আধুনিক নিয়োগ বিধিমালা প্রস্তুতের কাজ করছি।
জেলা প্রশাসক আসিব আহসানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ আঃ হামিদ খান, রংপুরেরঅতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এডব্লিউএম রায়হান শাহ, রংপুর যুব উন্নয়ন কার্যালয়ের উপণ্ডপরিচালক আবদুল ফারুকসহ যুব উন্নয়ন কর্মকর্তারা।
এরপর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে সচিব জেলার যুব উদ্যোক্তা, যুব সংগঠক ও প্রশিক্ষণার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় প্রশিক্ষনার্থীদের মাঝে যুব ঋণ বিতরণ করা হয়।