সাতক্ষীরা জেলা নিরাপদ খাদ্যদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা ও সহকারী জেলা ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তার সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ টিমের যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমান ভেজাল মধু ও মধু তৈরীর কেমিক্যাল জব্দ করা হয়েছে। বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে যৌথ অভিযানের নেতৃত্ব দেন জেলা নিরাপদ খাদ্যদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান এবং সহকারী জেলা ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তা নাজমুল হাসান। এ সময় শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের মথুরাপুর গ্রামে আবদুর রশিদ ওরফে চিনি রশিদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১৩মণ ভেজাল মধু, ড্রাম এবং ভেজাল মধু তৈরী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকারের শতাধিক ড্রাম কেমিক্যাল জব্দ করে আভিযানিক দলটি। অভিযানের খবর আগেই টের পেয়ে আবদুর রশিদ পালিয়ে যায়। সে ওই গ্রামে মৃত এছম গাজীর পুত্র।
স্থানীয়রা জানান, আবদুর রশিদ চিনি জালিয়ে ভেজাল মধু তৈরী করে স্থানীয় বাজার সহ দেশের ও বিদেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করে আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে। ইতোপূর্বে সে একাধিকবার ভেজাল মধুসহ প্রশাসনের কাছে গ্রেপ্তার হয়। কিন্তু আইনের ফাঁক গলিয়ে জামিনে মুক্তি পেয়ে পুনরায় একই কাজে লিপ্ত হয়। তাকে আইনের আওতায় কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়সহ সুশীল সমাজ।
এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রাক্তন মেডিকেল অফিসার ডাঃ আবু মুছা বলেন, ভেজাল মধু শরীরের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। বিশেষ করে ভেজাল মধু মানবদেহের কিডনি বিকল করে দেয়। জেলা নিরাপদ খাদ্যদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান এবং সহকারী জেলা ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তা নাজমুল হাসান জানান, গোপন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ভেজাল মধু, চিনি, কেমিক্যাল, মধু বহন কাজে ব্যবহৃত একটি কাভার্ড ভ্যানসহ (খুলনা মেট্টো ব-১১-০১৭৭) আনুসঙ্গিক মালামাল জব্দ করে শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শ্যামনগর থানার ওসি কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। আসামীদের পাকড়াবার চেষ্টা অব্যহত আছে।