ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরের কাস্টমস হাউজে জব্দ করা কসমেটিক, চকলেট সহ বিভিন্ন পণ্য নিলাম নিয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ স্থলবন্দরের কাস্টমস এর এর গুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এনিয়ে নিলামে অংশগ্রহণ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে। একপর্যায়ে ক্ষুব্দ ব্যবসায়ীরা স্থলবন্দরের কাস্টমস এর নিলাম ও ভারপ্রাপ্ত গুদাম কর্মকর্তা আশ্রাফ উদ্দিন অবরুদ্ধ করে রাখেন। বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ব্যবসায়ীরা তার অপসারন দাবী করেন।
নিলামে অংশ গ্রহনকারী ব্যবসায়ী
মানিক মিয়া এবং কাউছার আহাম্মেদ জানান, ঘোষিত নিলামের শর্তমেনেই বিভিন্ন স্থান থেকে শতাধিক ব্যবসায়ী নিলামে অংশগ্রহণ করেন। শর্ত অনুযায়ী আজ সকালে ব্যবসায়ীদের স্ব-শরীরে উপস্থিত থাকতে বলাহয়। সেই ঘোষনা অনুযায়ী অন্তত শতাধিক ব্যবসায়ী সকাল থেকেই আখাউড়া স্থলবন্দরের কাস্টমস হাউজে এসে জড়ো হন এবং যথারিতি নিলামে অংশগ্রহণ করেন। পরে কাস্টমস এর ভারপ্রাপ্ত গুদাম কর্মকর্তা আশ্রাফ উদ্দিন নানা তালবাহানা করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দোহাই দিয়ে হঠাৎ করে নিলাম প্রক্রিয়া স্থগীত করেন। এ সময় ক্ষুব্দ হয়ে উঠেন অংশগ্রহনকারী ব্যবসায়ী। তারা জানান ২০ লাখ টাকা মূল্যের কসমেটিক, চকলেট সহ বিভিন্ন পণ্য নিলাম ঘোষনা করাহয়। যথারিতি ডাক উঠে। কিন্তু অনৈতিক সুবিধা নিয়ে পছন্দের ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানকে নিলাম পাইয়ে দেয়ার জন্য কাস্টমস এর ভারপ্রাপ্ত গুদাম কর্মকর্তা আশ্রাফ উদ্দিন শুরুতেই নানা ছলছাতুরি শুরু করেন। একপর্যায়ে নিলাম স্থগীত করা হয়েছে মর্মে অংশগ্রহণ কারী ব্যবসায়ীদের স্থলবন্দর থেকে চলে যেতে বলেন। এ সময় ক্ষুব্দ ব্যবসায়ীরা তাকে ঘিরে ধরেন। একপর্যায়ে তারা অপসারণ দাবী করেন।
তবে অভিযুক্ত আখাউড়া স্থলবন্দরের কাস্টমস এর ভারপ্রাপ্ত গুদাম কর্মকর্তা আশ্রাফ উদ্দিন অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমি যা করেছি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে করেছি। কাউকে সুবিধা পাইয়ে দেয়ার বিষয়টি সঠিক নয়।