বাগেরহাটের চিতলমারীতে প্রেম করে বিয়ের প্রায়তিন বছর ধরে সংসার করারপর স্বামীর নগত অর্থও স্বর্ণ গহনা হাতিয়ে নিয়ে তালাকনামা পাঠিয়েছে এক গৃহবধু। এ ঘটনায় চিতলমারী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মোঃ মুরাদ হোসেন স্বাক্ষরিত থানার অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে পাশ্ববত্তী মোল্লাহাট উপজেলার আড়-য়াঢিহি গ্রামের মোঃ জাহাঙ্গীর মোল্লার মেয়ে ফারজানা বেগমের (২২), সাথে চিতলমারী উপজেলার শ্যামপাড়া গ্রামের মৈয়ার আলী শেখের ছেলে মুরাদ হোসেন (৩৫) এর সাথে প্রেমকরে বিবাহ হয়ে প্রায় তিন বছর অতিবাহিত হয়।
এ অবস্থায় বিগত ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখ মুরাদের স্ত্রী ফারজানা ঘরের আলমিরা থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার নগত টাকা স্বর্নালংকার নিয়ে বাবার বাড়ীতে যায়। এরপর স্বামী মুরাদ স্ত্রী ফারজানাকে বাড়ীতে আনতে গেলে সে আজকাল করে সময় অতিক্রম করে। বিষয়টি তার বাবা-মাকে জানালে তারা সাফ জানিয়ে দেন ফারজানা আর মুরাদের বাড়ীতে যাবেনা।
এ অবস্থায় স্থানীয় ভাবে ছেলে ও মেয়ের পক্ষ থেকে মুরাদের শ্বশুর জাহাঙ্গীর মোল্লার বাড়ীবসে একটি সালিশ বৈঠক হয়। সালিশ বৈঠক শেষে গত ১৪ নভেম্বর চিতলমারী উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের মাধ্যমে মুরাদ হোসেনের কাছে স্ত্রী পারজানা একটি তালাক নামা পাঠিয়ে দেয়। যে তালাকের তারিখ ১৮/০৯/২০২২ ইংরেজী।
এব্যপারে মুরাদ হোসেন জানান তার স্ত্রী ফারজানা টাকাও স্বর্ণালংকার নিয়ে বাপের বাড়ী জাবার পুর্বে তার শ্বশুর জাহাঙ্গীর মোল্লাও বিভিন্ন সময় তার কাছ থেকে ৭৪ হাজার টাকা নিয়েছেন। এবং মেয়েকে অনত্র বিবাহ দিয়ে প্রতারনা করেছেন।
এব্যারে জাহাঙ্গীর মোল্লা ও তার পরিবারের লোকজন জানান, মেয়ের সাথে বারবার খারাপ ব্যবহার করার জন্য মেয়ে তাকে তালাক দিয়ে অনত্র বিবাহ করেছে। সে ১০হাজার টাকা পেতো তা সালিশ দারদের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিয়েছি।